<p>ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কোরকদী  ইউনিয়নের ঘোষকান্দি, বাসপুর, খোদাবাসপুর ও রামদিয়া গ্রামে অজ্ঞাত রোগে মরিচ গাছে মড়ক লেগেছে। মারা যাচ্ছে শতাধিক একর জমির মরিচ গাছ। এতে ওই এলাকার মরিচ চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। মড়কের ফলে কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।</p> <p>মধুখালীর কোরকদী ইউনিয়নের ঘোষকান্দি গ্রামের ইয়াসিন শেখ, জিন্না শেখ, গোলাম মোস্তফা, আতিয়ার রহমান এবং কেলায়েত মীরসহ বেশ কয়েকজন মরিচ চাষি জানান, ওই গ্রামে বিভিন্ন পরিবার প্রায় ৫০ একর জমিতে মরিচ আবাদ করেছে। কিন্তু প্রায় মাসখানেক  আগে থেকে অজ্ঞাত রোগে মরিচ গাছ মরে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে একে মড়ক লাগা বললেও  প্রকৃতপক্ষে কী  কারণে মরিচ গাছ মরে যাচ্ছে- তা এখনও অজানা। কৃষি কর্মকর্তারাও কিছু বলতে পারছেন না।</p> <p>ওই কৃষকরা আরো জানান, কার্তিক মাস পর্যন্ত মরিচ উৎপাদনের সময় থাকলেও প্রায় দুই মাস আগেই গাছ মরে শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে এলাকার চাষিদের কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন তারা। </p> <p>বাসপুর গ্রামের ইউসুফ মিয়া ও খোদাবাসপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেন, 'মাঠের মরিচ ক্ষেতে মড়ক লেগে গাছ মরে যাচ্ছে। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হবে।' খোদা বাসপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেন, 'আমার এক একর জমির মরিচ ক্ষেতে মড়ক লেগে প্রায় তিণ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।</p> <p>এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. খবীর মণ্ডল বলেন, 'আমাকে কেউ ঘটনাটি জানায়নি। আগে জানলে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া যেত।</p> <p>মধুখালী মরিচ বাজারের আড়ৎদার মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল বলেন, বাজারে আগের মতো আর মরিচ আসছে না। মরিচ গাছ মরে যাওয়ার কারণে এ রকম হচ্ছে। তবে দাম খুব একটা বাড়েনি। প্রতিমণ মরিচ সাড়ে তিন হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।</p> <p>উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল বলেন, আমি কয়েকদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। কোথাও অজ্ঞাত রোগে মরিচ নষ্ট হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এ বছর এখানে মরিচের ফলন আগের কয়েক বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। দামও ভালো  থাকায় কৃষক ভালো অবস্থানে আছেন। তিনি বলেন, 'এ বছর মধুখালী উপজেলায় দুই হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।' </p> <p> </p>