ঢাকা, শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেল ওয়ালটন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেল ওয়ালটন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’র স্বর্ণ পদক গ্রহণ করছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক এস এম নূরুল আলম রেজভী।

 

২০২১-২০২২ অর্থবছরে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’র স্বর্ণ পদক পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। আগের অর্থবছরেও জাতীয় রপ্তানি ট্রফি অর্জন করেছিল বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ রপ্তানিকারক মাল্টিন্যাশনাল এই ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান। 
 
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ রবিবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৩২টি পণ্য খাতের মোট ৭৭টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’র স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানিতে স্বর্ণ পদক অর্জন করেছে ওয়ালটন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফির স্বর্ণ পদক গ্রহণ করেন 
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক এস এম নূরুল আলম রেজভী। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি। 

পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক এস এম নূরুল আলম রেজভী বলেন, এক সময়ের সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন  ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিদেশে রপ্তানি করছে। নিঃসন্দেহে এটা অত্যন্ত গর্বের।

এরই স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ালটনকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

তিনি জানান, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন শিল্পের টেকসই বিকাশে বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল ভবিষ্যত তৈরি করছে ওয়ালটন। বর্তমানে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য। প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক সুনাম অর্জন করছে ওয়ালটন।

এতে করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হচ্ছে। 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন।

ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস শাখা জানায়, দেশের রপ্তানিমুখী ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হলে উন্নত বিশ্বে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে পথ আরো সুগম হবে। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানকে সহজ শর্তে সহজ সুদে ব্যাংক ঋণ প্রদান করা হলে দেশের ইলেকট্রিক্যাল ও  ইলেকট্রনিক্স পণ্যের রপ্তানি আয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। 
বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।

ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের বাজারে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছে। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের উদ্ভাবনী পণ্যের পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড, আবহাওয়া এবং ক্রেতাদের চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালাচ্ছে ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন  সেন্টারের প্রকৌশলীরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় মেলাতেও অংশ নিচ্ছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যে ২০২৩ সালে আমেরিকার লাস ভেগাসে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্সের সর্ববৃহৎ মেলা ‘সিইএস ফেয়ার’ এবং চীনের ক্যান্টন ফেয়ারে অংশ নিয়ে ভালো সাড়া পেয়েছে ওয়ালটন। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আইএসইউতে নবীনবরণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
আইএসইউতে নবীনবরণ
সংগৃহীত ছবি

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) মহাখালী ক্যাম্পাসে ফল-২০২৪ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান সভাপতিত্ব করেন। আর প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন।

ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন বলেন, দেশের উন্নয়নে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই, তাই শিক্ষা অর্জন করে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হবে।

নবীন শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষকদের যেমন যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের সময়ের সদ্ব্যবহারও নিশ্চিত করতে হবে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, নিজের জীবন গড়ার এখনই উপযুক্ত সময়। উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে অবশ্যই শিক্ষা জীবনে যেমন পড়াশোনা করতে হবে, তেমনি ভালো মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রমে আইএসইউ পরিচালিত হচ্ছে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়মানুবর্তিতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিশ্বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিকট ভবিষ্যতে এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে।

ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউর যথাযথ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, আধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, মানসম্মত শিক্ষক, তাত্ত্বিক, ব্যাবহারিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার জন্য আইএসইউ বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের যোগ্যতানুযায়ী পার্টটাইম ও গ্র্যাজুয়েশনের পর চাকরির সুবিধা দিচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মনজুর মোর্শেদ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক।

আরো বক্তব্য দেন আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক, আইএসইউর ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর মো. আসাদ উল্লাহ-আল-হোসেন এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নুরুল হুদা। নাফিসা তাবাসসুম ও শোয়েব আহমেদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কমকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এআইইউবিতে ইনডোর গেমস উদ্বোধন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
এআইইউবিতে ইনডোর গেমস উদ্বোধন
সংগৃহীত ছবি

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) অফিস অব স্পোর্টসের উদ্যোগে ১০ দিনব্যাপী এআইইউবি ইনডোর গেমস প্রতিযোগিতা-২০২৪-এর আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মিস নাদিয়া আনোয়ার ইনডোর গেমস উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির প্রক্টর ড. মনজুর এইচ খান, প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন, অফিস অব স্পোর্টস-এর কো-অর্ডিনেটর মো. জয়নাল আবেদীন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা।

এআইইউবি ইনডোর গেমস প্রতিযোগিতায় দাবা, ক্যারম, বিলিয়ার্ড, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, টেনিস, লুডু, হ্যান্ডবল এবং ভলিবলসহ ১১টি বিভিন্ন ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মকর্তাসহ প্রায় ২,৫০০ জন অংশ নিয়েছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সুজুকি বাংলাদেশ নিয়ে এলো ২৫০ সিসি বাইক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
সুজুকি বাংলাদেশ নিয়ে এলো ২৫০ সিসি বাইক
সংগৃহীত ছবি

মটোজিপি প্রযুক্তি দ্বারা অনুপ্রাণিত পারফর্ম্যান্স এবং ডিজাইনের নতুন মাইলফলক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে সুজুকি জিক্সার ২৫০ সিরিজের উদ্বোধন করেছে সুজুকি বাংলাদেশ। ঢাকার তেজগাঁওয়ে আলোকি প্রাঙ্গণে উন্মোচন অনুষ্ঠানটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুজুকির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সিয়াম আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুজুকি বাংলাদেশ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, যার মধ্যে রয়েছেন র‌্যানকনের জিএমডি রোমো রউফ চৌধুরী, র‌্যানকন হোল্ডিংস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারহানা করিম, ডিভিশনাল ডিরেক্টর শোয়েব আহমেদ, চিফ অপারেটিং অফিসার একেএম তৌহিদুর রহমান এবং হেড অব মার্কেটিং আমীন মাহমুদ।

সুজুকি জিক্সার ২৫০ সিরিজে রয়েছে সুজুকি’র নিজস্ব অয়েল কুলিং সিস্টেম (এসওসিএস) প্রযুক্তিতে চলা একটি উন্নত ২৫০ সিসি ফুয়েল ইনজেকশন (এফআই) ইঞ্জিন যা অসাধারণ পারফরম্যান্স, নির্ভরযোগ্যতা এবং জ্বালানি সাশ্রয় নিশ্চিত করে। এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি হালকা চ্যাসিস, ৬-স্পিড গিয়ারবক্স, বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস, এবং সুজুকি’র মোটোজিপি-অনুপ্রাণিত আকর্ষণীয় ডিজাইন।

সুজুকি জিক্সার ২৫০-এর মূল্য ৩৯৯,৯৫০ টাকা, সুজুকি জিক্সার এসএফ ২৫০-এর মূল্য ৪৪৯,৯৫০ টাকা এবং জিক্সার ২৫০ এসএফ মটোজিপি এডিশন ও নাইট্রো নিয়ন এডিশনের মূল্য ৪,৬৪,৯৫০ টাকা।

সুজুকি জিক্সার ২৫০ এবং জিক্সার এসএফ ২৫০ এখন বাংলাদেশে সুজুকি’র সব অনুমোদিত ডিলারশিপ পয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।

রাইডাররা জিক্সার এসএফ ২৫০ মোটোজিপি এডিশন এবং নাইট্রো নিয়ন এডিশন প্রি-বুক করতে পারবেন।

প্রত্যেক রাইডারের জন্য পারফরম্যান্স, নিরাপত্তা ও স্টাইলের আদর্শ কম্বিনেশন এই সিরিজের বৈচিত্র্যময় রং ও মডেলগুলো ঘুরে দেখতে মোটরসাইকেল-প্রেমীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সুজুকি বাংলাদেশ। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কুমিল্লায় ইউনিডো ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পরিছন্নতা অভিযান

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
কুমিল্লায় ইউনিডো ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পরিছন্নতা অভিযান
সংগৃহীত ছবি

জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডিও) উদ্যোগে দেশব্যাপী প্লাস্টিক বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশগত দূষণ সম্পর্কে ৬০টি পরিছন্নতা অভিযান এবং গণসচেতনতায় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় পরিছন্নতা অভিযানের দ্বিতীয় উদ্যোগ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠান বাস্তবায়িত হয় ইউনিডিও টেকসই প্লাস্টিক দ্রব্য ব্যবস্থাপনা এবং বাংলাদেশে নৌ-বর্জ্য প্রতিরোধক কর্মসূচির আওতায়। এই চলমান কর্মসূচি যৌথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ইউনিডিও- এর যৌথ উদ্যোগে।

কর্মসূচি বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে রয়াল নরওয়ে দূতাবাস। 

এই কর্মসূচি প্রধান লক্ষ হলো একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার সংকোচন এবং তার পরিবর্তে পুনঃর্ব্যবহারযোগ্য এবং পুনঃপ্রক্রিয়াযোগ্য প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহারের ব্যাপারে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই কর্ম উদ্যোগ পরিচালিত হচ্ছে গণস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ প্লাস্টিক বর্জ্য দ্বারা পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে এবং প্লাস্টিকের টেকসই বিকল্প ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. রহমত উল্লাহ, ইউনিডো'র ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সত্য রঞ্জন ভট্টাচার্য, ইউনিডোর ন্যাশনাল এক্সপার্ট এম. এম. আরাফাত ও অন্যান্যরা।

পরিবেশ অধিদপ্তর কমিল্লার সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা, উপস্থিত অতিথিরা এবং ২০টি পরিবেশ ও গণস্বাস্থ্য বিষয়ক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি জানান, প্লাস্টিক দূষণ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ইতিমধ্যে কুমিল্লায় ২০টি মামলা করা হয়েছে। এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে পরিবেশগত পরিছন্নতার ব্যাপারে মানুষ ক্রমেই সচেতন হয়ে উঠছে বলেও জানান তিনি।

চৌদ্দগ্রামের নির্বাহী কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ বলেন, প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি সমাজে দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতাও বেড়েছে। এই অপচনশীল বর্জ্যের কারণে আমাদের ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে, যার কারণে বিভিন্ন এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। 

ইউনিডো’র ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সত্য রঞ্জন ভট্টাচার্য বর্জ্য স্তুপের ভয়াবহতা প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে।

এ থেকে সৃষ্টি হচ্ছে মাইক্রোপ্লাস্টিকস, যা নৌ জীবনচক্রে মারাত্মকভাবে দূষিত করছে। 

ইউনিডো’র তিনটি মৌলিক অঙ্গীকার তুলে ধরে তিনি বলেন. তিনটি ‘আর’ (অর্থাৎ রিডিউজ, রিইউজ এবং রিসাইকেল) নিয়ে আমরা কাজটি করছি এবং পরবর্তী উদ্যোগে আমরা এই লক্ষে প্লাস্টিক সামগ্রীর উৎপাদনকারীদের এই ধরনের কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট করবো।
 
ইউনিডো’র ন্যাশনাল এক্সপার্ট এস.এম. আরাফাত তার ভাষণে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ বা রিসাইক্লিং’এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

কুমিল্লার পরিবেশ পরিদর্শক জোবায়ের হোসেন বলেন, বাংলাদেশের নদী-নালা ও জলাধারে দৈনিক ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য নিক্ষিপ্ত হয় যা পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ। 

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ. কে. মীর হোসেন, চৌদ্দগ্রামের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরওয়ার লিমা এবং বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাডেট ফোরামের চেয়ারম্যান শাহ মুজিবুল হক প্রমুখ। তারা পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে, দেশের তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। 

২০টি পরিবেশ সংগঠনের প্রায় ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী এই পরিছন্নতা কর্মসূচি ও আলোচনাসভায় অংশ নেন। যাদের মধ্যে ছিল রেড ক্রিসেন্ট, সিভিল ডিফেন্স অ্যান্ড ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, রোড সেফটি মুভমেন্ট, চৌদ্দগ্রাম হেলপ্লাইন-সহ বেশকিছু স্থানীয় এনজিও এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 

অতিথিরা এবং এই পরিবেশ কর্মীরা অভিযানে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে ৩৫০ কেজি বর্জ্য অপসারণ করেন। উপজেলা পরিষদ এলাকায় বিভিন্ন সচেতনতা বাণী সমৃদ্ধ ফেস্টুন, ব্যানার স্থাপন করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ