<p>বরিশালের প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তা রনি হাওলাদার। এক বছর আগে বলছিলেন, খরচ কম ও ব্যবহার করা সহজ বলে নগদের প্রতিই মানুষের ভালোবাসা বেশি। তিনি বলেছিলেন, খুব দ্রুত নগদ বাংলাদেশের ‘এক নম্বর’ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে। </p> <p>কেবল রনি নন, এমন ভালোবাসা ও আশা নগদকে নিয়ে আছে কোটি মানুষের। আর সেই ভালোবাসাতেই শেষ হতে যাওয়া বছরে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে গ্রাহকপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ। এতোদিন দেশের সবচেয়ে বেশি গ্রাহক ছিলো মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীন ফোনের। তাদের টপকে এবার শীর্ষে থেকে বছর শেষ করেছে নগদ। </p> <p>শেষ হতে যাওয়া বছরে রেকর্ড ৮ কোটি ৮৫ লাখ নিবন্ধিত গ্রাহকে পৌঁছেছে নগদ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশনের সর্বশেষ হিসাব অনুসারে গ্রামীণফোনের গ্রাহক ৮ কোটি ২১ লাখ। প্রতিষ্ঠানটি এক সময় সাড়ে আট কোটির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। তবে এরই মধ্যে নগদ ছাড়িয়ে গেছে সবাইকে।</p> <p>২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করার পর সে বছর ৭৮ লাখ গ্রাহক নিয়ে বছর শেষ করেছিলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল লেনদেন করার প্রতিষ্ঠানটি। পরের বছর শেষে নগদের গ্রাহক সংখ্যা দাড়ায় ২ কোটি ৩৬ লাখে। ২০২১ সালে ৫ কোটি ৮২ লাখ গ্রাহক নিয়ে বছর শেষ করে নগদ। ২০২২ সালে এই সংখ্যা পৌছে যায় ৭ কোটি ৫ লাখে। আর এ বছর সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নগদের নিবন্ধিত গ্রাহক হলো ৮ কোটি ৮৫ লাখের ওপরে। </p> <p>নগদ কর্তৃপক্ষ বলছে, মূলত একের পর এক চমক জাগানো সব উদ্ভাবন বড় ভূমিকা রেখেছে তাদের এই অগ্রযাত্রায়। নিমেষেই অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি নিয়ে সামনে আসায় এতো দ্রুত গ্রাহক অর্জন করতে পারছে তারা। আগে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা বেশ কয়েক দিনের ব্যাপার ছিলো। নগদের উদ্ভাবিত ইকেওয়াইসি'র মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলা যায়। আর এটাই নগদের প্রতি কোটি মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। </p> <p>এছাড়া সাশ্রয়ী খরচ এবং বেশ কয়েকটি সরকারি সেবাকে ডিজিটাল লেনদেনের আওতায় আনায় নগদের যেমন প্রসার হয়েছে; লাভ হয়েছে সরকারেরও। সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা এবং প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তিকে ঝঞ্জাটমুক্ত করেছে নগদ। এর বাইরে সরকারের বিভিন্ন ভাতা বিতরণ করছে নগদ। ফলে সরকার ও কোটি কোটি গ্রাহকের যেমন খরচ ও সময় বেঁচেছে গ্রাহক বেড়েছে নগদেরও তাতে দেশে আথিক অন্তর্ভুক্ততে ইতিবাচক ফলাফলও চোখে পড়ছে।</p> <p>নগদের এই দ্রুত উত্থানের পেছনে আছে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক বান্ধব সেবা ও উদ্ভাবন বড় ভূমিকা রেখেছেন। প্রতিষ্ঠানটির চিফ কমার্শিয়াল অফিস সিহাব উদ্দিন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক সবসময় বলেন, গ্রাহকের জীবন আরও সহজ করাই নগদের প্রধাণ কাজ। আর সেটা আমরা করতে পেরেছি বলেই আজ নগদ দেশের সবচেয়ে বড় গ্রাহক পরিবারের প্রতিষ্ঠান। আমরা শুরু থেকে জোর দিয়েছি কিভাবে উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহার করে মানুষের জীবন সহজ করা যায়, সেটার ওপর। সে জন্যই আমরা মুহুর্তে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ই-কেওয়াইসি এবং *১৬৭# নিয়ে এসেছি। এতে প্রমাণ হয়েছে, সেবা সহজ হলে মানুষ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে গ্রহন করতে প্রস্তুত আছে।’</p> <p>সিহাব উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘নগদ খুব দ্রুত ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে আসছে। আমরা এই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে আরও আধুনিক ও সহজতর এবং ব্যাপক সেবা নিয়ে আসতে চাই মানুষের জন্য।’</p>