<p>চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করতে যাচ্ছে। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, বিগডাটা একদিকে যেমন অপরিসীম সুযোগের ধারাকে অবারিত করেছে অন্যদিকে তেমনি আমাদেরকে অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক সমন্বয় সাধন করতে হবে। অন্যান্য ভালো ভালো ইনস্টিটিউশন এর মত প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষেত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করছে।</p> <p><strong>কারিকুলাম আধুনিকীকরণ :</strong></p> <p>চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উদ্ভূত চ্যালেঞ্জসমূহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিলেবাস প্রণয়ণে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইন্ডাস্ট্রির সতত পরিবর্তনশীল চরিত্র এবং প্রযুক্তির দ্রুত ও ব্যাপক উন্নয়নকে মাথায় রেখে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ইন্টার ডিসিপ্লিনারি বেশ কিছু বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এগুলোর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স এবং টেকসই প্রযুক্তি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ইন্ডাস্ট্রি লিডারদের  সহায়তায় এমন কিছু কোর্স ডেভেলপ করেছে যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা তত্ত্বীয় শিক্ষার পাশাপাশি হাতে কলমে বিভিন্ন বিষয় শিখার সুযোগ পায়।  অধিকন্তু , সিলেবাস প্রণয়নে ক্রিটিকাল থিংকিং, প্রবলেম সলভিং এবং এডাপটিবিলিটি ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে. যাতে করে ছাত্রছাত্রীরা প্রযুক্তি জ্ঞানের পাশাপাশি জব মার্কেটের জন্য প্রয়োজনীয় সফট স্কিল গুলোতেও দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। এই সমস্ত উদ্যোগগুলোর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি তার ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রফেশনালি এমনভাবে প্রস্তুত করছে যাতে করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সতত পরিবর্তনশীলতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।</p> <p><strong>প্রায়োগিক শিক্ষা :</strong></p> <p>প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, ইন্টার্নশিপ ও প্রজেক্ট ইত্যাদির মাধ্যমে ক্লাসরুমে অর্জিত তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগের সুযোগ পেয়ে থাকে। বাস্তব জগতে AI টেকনোলজি কিভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীরা গভীর জ্ঞানার্জনের সুযোগ পাচ্ছে এই প্র্যাকটিক্যাল কার্যক্রমের মাধ্যমে।</p> <p><strong>ইন্টারডিসিপ্লিনারি এপ্রেচ :</strong></p> <p>বিজনেস, হেলথ কেয়ার, ট্রান্সপোর্টেশন, ফাইনান্স এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে  আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর প্রয়োগ কেমন হবে এ ব্যাপারে ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট ছাত্রীদের যোগ করে দিচ্ছে। এই সুবিধা তৈরি করার লক্ষ্যে  কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট অন্য ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কোলাবোরেশন তৈরি করেছে।</p> <p><strong>গবেষণা এবং উদ্ভাবন :</strong></p> <p>প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা সাইন্স, মেশিন লার্নিং, ব্লক চেন এবং প্রযুক্তির অন্যান্য ক্ষেত্রে গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাছাড়া প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট আইটি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কৌশলগত পার্টনারশিপ তৈরি করেছে। ফলে সিএসসি ডিপার্টমেন্ট একদিকে যেমন সমসাময়িক ইন্ডাস্ট্রি চাহিদার সাথে সমন্বয় করে সিলেবাস ডেভেলপ করতে পারছে, অন্যদিকে তেমনি ছাত্রীদের তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি প্রায়োগিক দিকেও ভালোভাবে প্রশিক্ষিত করতে পারছে। </p> <p><strong>ইন্ডাস্ট্রি পার্টনারশিপ:</strong></p> <p>কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ব্যাপক পার্টনারশিপ তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নামকরা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো স্টার্টআপ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চায়। এই পার্টনারশিপগুলো ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা ও বাস্তব প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান আহরণে ভূমিকা পালন করছে। ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী সিলেবাস প্রণয়ন, গবেষণা প্রচেষ্টা এবং এবং প্রায়োগিক জ্ঞান ইত্যাদি সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি তার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ইন্ডাস্ট্রি চাহিদা অনুযায়ী জ্ঞান ও দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করছে। অধিকন্তু, ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এই ধরনের পার্টনারশিপের কারণে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন রিসার্চ প্রজেক্ট, ইন্টার্নশিপ এবং চাকরি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।</p> <p><strong>প্রযুক্তি শিক্ষার নৈতিক দিক :</strong></p> <p>কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সিস্টেম তৈরি করার সময় এর নৈতিক, আইনগত এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে  বিবেচনা করতে হবে। অন্যথায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভুল প্রয়োগ মানব সভ্যতাকে বিপন্ন করে তুলবে। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সাইন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের নৈতিক দিকটি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকে। </p> <p><strong>ক্রমাগত শিক্ষণ এবং পরিবর্তনশীলতাকে আত্তস্তকরন:</strong></p> <p>কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে সকল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে তা মোকাবেলায় ক্রমাগত শিক্ষণ ও দ্রুত পরিবর্তনশীলতাকে আত্মস্থ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জীবনব্যাপী শিক্ষা গ্রহনের বিশেষ সুযোগ প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রী ও এলামনাইদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হতে সাহায্য করে। </p> <p>পরিশেষে বলা যায়, AI টেকনোলজি আত্মস্থ করার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির  ছাত্রছাত্রীগন শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত দক্ষতাই অর্জন করে না, শিল্প বিপ্লবের সতত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিকে আত্মস্থ করার শক্তি অর্জন করে। </p>