ঢাকার বনানীর হোটেল শেরাটনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে 'সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২২, বাংলাদেশ'-এর শীর্ষ ৯ শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। আয়োজনের পরবর্তী রাউন্ডে অংশ নিতে আগামী মাসে বিজয়ীরা থাইল্যান্ড যাবেন এবং এশিয়ার অন্য বিজয়ীদের সাথে যোগ দেবেন।
প্রতিযোগিতার ৯ জন বিজয়ী হলেন বুয়েটের গোলাম মাহমুদ সামদানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাদমিন সুলতানা, রুয়েটের মাদিহা বিনতে জাকির ও মেহরিন তাবাসসুম, আইইউটির ওয়াসিফা রহমান রেশমি ও মো. সুমিত হাসান, চুয়েটের মোহাম্মদ ইফতেখার ইবনে জালাল এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাজিব শারার শায়ক ও মোহসিনা তাজ।
চলতি বছর এই প্রগ্রামে অংশ নেওয়া এক হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর ইউ লিওয়েন, বাংলাদেশে ইউনেসকোর হেড অব অফিস ও প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়াও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, 'সিডস ফর দ্য ফিউচার আমার কাছে অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক বলে মনে হয়। আমি নিশ্চিত যে আমাদের শিক্ষার্থীরাও ঠিক এমনটাই মনে করে। এই উদ্যোগের জন্য আমি হুয়াওয়েকে সাধুবাদ জানাই এবং প্রগ্রামে অংশ নেওয়া সকল বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাই। '
বাংলাদেশে ইউনেসকোর হেড অব অফিস ও প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন বলেন, হুয়াওয়ে তরুণদের শেখার ও অন্যদের শিখতে উৎসাহিত করার চমৎকার সুযোগ তৈরি করছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর ইউ লিয়েন বলেন, 'প্রতিবছর আমরা শিক্ষার্থীদের চীন সরকারের বৃত্তি, প্রভিনশিয়াল বৃত্তি, বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি ও কনফুসিয়াস বৃত্তি দিয়ে থাকি। চীনা দূতাবাস ও হুয়াওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের প্রচেষ্টা বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাহায্য করেছে এবং ভবিষ্যতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও সাহায্য করবে। '
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি বলেন, 'মেধাবী তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রগ্রামে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশে অনেক মেধাবী তরুণ রয়েছেন এবং বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে হুয়াওয়ে সব সময় পাশে আছে। '