<p>হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দের শাহাদত বার্ষিকী তথা জাতীয় শোক দিবস, ২০২১ উপলক্ষ্যে জনশক্তি রপ্তানীকারকদের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সীজ (বায়রা) অদ্য ১৫/০৮/২০২১ তারিখ, রবিবার, রাত ৮.৩০ মিনিটে জুম প্ল্যাটফর্মে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।</p> <p>অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বায়রা’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব গোলাম মুস্তাফা। সঞ্চালনায় ছিলেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এর চেয়ারম্যান জনাব হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।</p> <p>সভার শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দের মাগফিরাত কামনা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।</p> <p>বায়রা’র প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জনাব নূর মোঃ মাহবুবুল হক তাঁর সূচনা বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আত্মত্যাগ ও দেশ গঠনে তাঁর অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি এ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ধিক্কার জানান।</p> <p>বায়রা’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোহাম্মদ নূর আলী ৯ই সেপ্টম্বর ১৯৭০ সালে নবাবগঞ্জ গিয়েছিলেন তখন তিনি স্কুল কমিটির পক্ষ থেকে ভলিন্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তখনই তিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রথম স্বশরীরে খুব কাছের থেকে দেখেছেন। ১৯৭৫ সালে তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের ছাত্র তখন ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন উপলক্ষ্যে তাঁর এবং তাঁর এক বন্ধুর উপর আলপনা করার দায়িত্ব পড়ে। আলপনা তৈরী করে যখন সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগানোর জন্য ভোরবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখনই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে প্রচন্ড গোলাগুলির খবর পান। পরবর্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার বিষয়টি জানতে পারেন। ঘটনাটি শুনামাত্র তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। তাঁর কাছে মনে হলো দেশের রাজনীতিতে একটি সাইক্লোন, একটি সুনামী হয়ে গেল। এছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।</p> <p>বায়রা’র সাবেক সভাপতি জনাব মোঃ শাহজালাল মজুমদার স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে এবং আজকের সোনার বাংলাদেশ হওয়ার ভিত্তি যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাত ধরেই হয়েছে তা উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশের রাজনীতি তথা দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।</p> <p>সভায় প্রধান আলোচক ও বায়রা’র সাবেক সভাপতি জনাব বেনজীর আহমদ, এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কোন দলের নয়। তিনি সকল দলের। সকল মত ও বিতর্কের উর্ধ্বে। তিনি আমাদের জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু এদেশের মুক্তির কথা, স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেছেন। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে তর্জনী উচিয়ে কথা বলার সাহস কেউ পায়নি, তিনি দেখিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে নিমর্মভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের মান মর্যাদা বিশ্বের কাছে ভূলুন্ঠিত হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা জাতির পিতার নির্দেশে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি।</p> <p>সভার সভাপতি ও বায়রা’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব গোলাম মুস্তাফা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী। তিনি স্বাধীনতার মহানায়ক। এত ত্যাগ, এত সাধনা তিনি করেছিলেন বলেই ধাপে ধাপে বাঙ্গালী জাতি গর্জে উঠেছিল। গর্জে উঠেছিল বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। এমন মহান নেতা হাজার বছরে হয়ত একজন জন্মায়। তিনি বিনম্র চিত্তে জাতির পিতার মহান আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।</p> <p>অনুষ্ঠানে বায়রার সাবেক মহাসচিব জনাব রিয়াজ-উল-ইসলাম, সাবেক মহাসচিব জনাব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব জনাব মোহাম্মদ আবুল বাশার, সাবেক অর্থ সচিব জনাব মোঃ সওকত হোসেন</p> <p>সিকদার, সাবেক অর্থ সচিব, জনাব মিজানুর রহমান, সাবেক ক্রীড়া, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সচিব জনাব এস.এম. নাজমুল হক, সাবেক ক্রীড়া, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সচিব জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ছাড়া প্রমুখ বায়রা সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।</p>