দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ৩০ বছরে পা দিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আইবিএ এর সাবেক পরিচালক শিক্ষাবিদ ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান ১৯৯১ সালে আইইউবিএটি প্রতিষ্ঠা করেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবুজে ঘেরা একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানীর উত্তরায় ২০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পথিকৃৎ বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশে প্রথম বিবিএ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট এবং বেসরকারিভাবে প্রথম অ্যাগ্রিকালচার, নার্সিং ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিয়ারিং প্রগ্রাম চালু করে। বর্তমানে ছয়টি অনুষদের অধীনে ১১টি বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পড়ালেখা করছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী।
সুন্দর লোকেশন, পরিবেশ, আয়তন কোনো কিছুই আইইউবিএটির ক্যাম্পাসকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না। হাজারও মেধাবী ছাত্রছাত্রীর পদচারণায় প্রতিদিন মুখরিত হয় এই ক্যাম্পাস। পুরো ক্যাম্পাসে রয়েছে সবুজের ছোঁয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের দিকে রয়েছে বিশাল লেক। আর এই লেকের পাশ ঘেঁষেই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য বানানো হয়েছে ‘স্টাডি এরিনা’। চারপাশ খোলা মনোরম পরিবেশে তৈরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টাডি এরিনা’ সেখানকার অবকাঠামো সৌন্দর্যও যেন চোখে পড়ার মতোই।চারদিকে বকুল আর কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো। যা থেকে নির্মল বাতাস পায় শিক্ষার্থীরা। ‘স্টাডি এরিনা’ ঠিক পেছনের দিকেই বকুল গাছ লাগিয়ে সেটির নামকরণ করা হয়েছে বকুলতলা। উন্মুক্ত স্টাডি এরিনায় একসঙ্গে ৮০০ শিক্ষার্থী গ্রুপ করে পড়াশোনা করতে পারেন।
ক্যাম্পাসে ক্লাস চলাকালে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে আইইউবিএটির স্টাডি এরিনা। ‘স্টাডি এরিনার পাশেই রয়েছে উন্মুক্ত ক্যাফেটেরিয়া যার নাম লেমন লাইম। এখানে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী সকালের নাশতা, দুপুরের লাঞ্চ এবং বিকালের স্ন্যাকসসহ অভিজাত সব ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন।
পড়াশোনার মাঝেও ক্যাম্পাসে খেলাধুলার চর্চাটাও বেশ চোখে পড়ার মতো। রয়েছে চমৎকার খেলার মাঠ। যেখানে নিজেদের সেরা প্রমাণে সারা বছর ফুটবল, বাস্কেট বল, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল আন্তঃডিপার্টমেন্ট খেলা চলতে থাকে। নিজের ডিপার্টমেন্টের খেলা দেখতে সবাই হাজির হয় সদবলে। সঙ্গে থাকেন শিক্ষকরাও।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে কারুকার্য ও নান্দনিকতাসম্পন্ন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। নির্মাণশৈলী, কারুকার্য ও নান্দনিকতায় মসজিদটি অনন্য। মসজিদটির তিন দিকে রয়েছে খোলা প্রাঙ্গণ। মসজিদের চারদিকেই রয়েছে সবুজের সমারোহ বৃক্ষরাজি দ্বারা আচ্ছাদিত।
দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত একজন করে পেশাদারি গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।
যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চশিক্ষার নিশ্চয়তা— প্রয়োজনে মেধাবী তবে অসচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন। এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১০০% পর্যন্ত মেধা বৃত্তি। মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করতে ১৫% স্পেশাল বৃত্তিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯০টি বৃত্তি দেয়া হয়। এছাড়াও মেধাবী তবে অসচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন। মোট কথা এখানে পড়াশোনা করার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান হলো ‘অ্যান এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন্ড ফর লার্নিং’। বিজ্ঞানভিত্তিক সময়োপযোগী ও মানসম্মত পাঠদানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় তাই আইইউবিএটি শিক্ষার মান উন্নত। এখানকার শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় শিক্ষা পায়। তাত্ত্বিক ক্লাসে তার বিষয়ের ওপর জ্ঞান অর্জন করে এবং সিমুলেশন, প্রজেক্ট, গবেষণা, উপস্থাপনা ইত্যাদির মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানের ব্যবহার করে দক্ষতা অর্জন করে। শিক্ষার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক শিক্ষকদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।
চাকরির বাজারে আইইউবিএটির স্নাতকরা তাদের কর্মদক্ষতা, মেধা, শ্রম ও নিয়মানুবর্তিতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে তারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের চেয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই । আইইউবিএটির অনেক স্নাতক ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন পদে উন্নীত হয়েছে এবং সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়া অনেক স্নাতক বিসিএস ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা মিয়ান রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং ব্যবসায় প্রশাসনসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক বিভিন্ন গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। এসব গবেষণার ফলাফল নিয়ে রিসার্চ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাকরির উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের পেশা বিষয়ক কর্মশালা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আইইউবিএটির ‘অ্যালামনাই এবং প্লেসমেন্ট অফিস। তাই পাশ করার পরপরই আইইউবিএটির স্নাতকদের চাকরিতে প্রবেশ করা সহজ হয়ে যায়।
আইইউবিএটির অ্যালামনাই এবং প্লেসমেন্ট অফিস থেকে অ্যালামনাই এবং অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন,বৃহৎ আঙ্গিকে ক্যারিয়ার সেমিনার ও ক্যারিয়ার ফেয়ারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পেশার আদ্যোপান্ত ধারণা দেওয়া হয়।
শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ১০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আইইউবিএটির সমঝোতা চুক্তি রয়েছে। এই সমঝোতা চুক্তির ফলে গবেষণা কার্যক্রম এবং স্বল্পমেয়াদি শিক্ষার্থী-ক্যাম্প পরিচালনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষক বিনিময় করা হয়।
আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা মিয়ান রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং ব্যবসায় প্রশাসনসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা বিভিন্ন গবেষণায় নিয়োজিত আছেন।
সবুজ ক্যাম্পাস হিসাবেও আইইউবিএটি দেশের দ্বিতীয় শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে। বিশ্বের ৮৪ টি দেশের ৯১২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আইইউবিএটির অবস্থান ২৫৭তম। এই র্যাংকিংয়ের লক্ষ্য হল বর্তমান পরিস্থিতি এবং সারা বিশ্ব জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্রিন ক্যাম্পাস এবং টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কিত নীতিমালার প্রতিফলন সমূহের ফলাফল প্রকাশ করা।
পরিবেশ উন্নয়নে ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস নির্মাণে আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা সর্বপ্রথম ২০০৮ সালে গ্রিন ক্যাম্পাস হিসাবে ঘোষণা করেন।এই ধারাবাহিকতায় ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং- অনুযায়ী আইইউবিএটি বাংলাদেশে দ্বিতীয় শীর্ষস্থান অর্জন করেছে।
আইইউবিএটি ঢাকায় অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে আছে খেলার মাঠ,শহীদ মিনারসহ শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। শিক্ষার্থীদের আনা নেয়ার জন্য ক্যাম্পাস থেকে নিজস্ব বাস চলাচল করে এর জন্য শিক্ষার্থীদের কোনো টাকা পয়সা দিতে হয় না।
আইইউবিএটি স্রেফ একটি ভবন নয়। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’। তাই ছাত্রছাত্রীরা এখানে পা রেখে শুধু বুকভরে নিঃশ্বাসই নয়,উদ্যম আর আত্মবিশ্বাসও গ্রহণের সুযোগ পান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
মন্তব্য