কালের কণ্ঠ : বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার কত বড়? ওয়ালটন পণ্যগুলোর মার্কেট শেয়ার কত?
ওয়ালটন এমডি : বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের এক বিশাল বাজার। দেশে প্রতি বছর ১৫ হাজার কোটি টাকার মতো ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, রাইস কুকার, ব্লেন্ডারসহ অন্যান্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রি হয়। এই বিশাল বাজারের প্রায় ৭০ শতাংশই হচ্ছে ফ্রিজের। দেড় দশক আগে এর পুরোটাই ছিল বিদেশি ব্র্যান্ডের দখলে। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো হটিয়ে স্থানীয় বাজার এখন দখল করে নিয়েছে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডগুলো। বিশেষ করে, দেশের ইলেকট্রনিক্স বাজারে ৭০ শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার এখন ওয়ালটন ফ্রিজের। এছাড়া টিভি ও এসিতে যথাক্রমে ৫০ ও ৩০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার অর্জন করে নিয়েছে ওয়ালটন। ওয়ালটন দেশে তৈরি উন্নতমানের প্রযুক্তি পণ্য ক্রেতাদের হাতে সাশ্রয়ী দামে তুলে দেওয়ায় শুধু শহরাঞ্চলেই নয়, গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ওয়ালটন পণ্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
কালের কণ্ঠ : ইলেকট্রনিক্স পণ্যের আমদানিকারক থেকে বাংলাদেশ কিভাবে রপ্তানিকারক হলো?
ওয়ালটন এমডি : এক দশক আগেও দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার পুরোপুরি আমদানি নির্ভর ছিল। ওই সময় বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিবাবদ একদিকে ব্যয় হতো বিশাল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা; অন্যদিকে ফ্রিজ, টিভির মতো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দামও ছিলো আকাশ ছোঁয়া। তাই তখন ইলেকট্রনিক্স ছিলো বিলাসী পণ্য। কিন্তু, ওয়ালটন স্থানীয় পর্যায়ে ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন শুরুর পর দেশীয় এই খাতের আমদানি নির্ভরতা কমে আসে উল্লেখযোগ্যহারে।
ওয়ালটন ২০০৬ সালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি পূর্ণাঙ্গ ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। মাত্র দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০০৮ সালে কারখানায় বাণিজ্যিকভাবে ফ্রিজ উৎপাদন শুরু করে ওয়ালটন। অল্প সময়ের মধ্যেই টেলিভিশন ও এয়ার কন্ডিশনার উৎপাদনও শুরু করে। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন শুরুর পর থেকেই দেশের ইলেকট্রনিক্স খাতের আমদানি নির্ভরতা দ্রুত কমতে থাকে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে বিদেশী ব্র্যান্ডগুলোকে প্রতিযোগিতায় পিছনে ফেলে স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণে শীর্ষে উঠে আসে ওয়ালটন। বর্তমানে দেশের সিংহভাগ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ওয়ালটনের তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের ৪০টি দেশে। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিকমানের পণ্য দিয়ে বিশ্বক্রেতাদের আস্থা জয় করে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। বাড়ছে দেশের রপ্তানি আয়। দেশের রিজার্ভে যোগ হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
বাংলাদেশ এখন ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমদানি বিকল্প ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনের মতো সম্ভবনাময় এক নতুন দেশীয় শিল্পখাতের বিকাশ ঘটেছে। আবার এ খাতের সিংহভাগ আমদানি নির্ভরতা কমে আসায় সাশ্রয় হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। ফলে প্রচুর পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তি খাতে গড়ে উঠছে দক্ষ জনশক্তি। এদিকে স্থানীয় বাজারে বিক্রিতে দেশীয় শিল্পের পণ্য শীর্ষে থাকায় ভ্যাট ও কর খাতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।
কালের কণ্ঠ : ওয়ালটন কি কি পণ্য কোন কোন দেশে রপ্তানি করছে? রপ্তানি বৃদ্ধিতে ওয়ালটনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
ওয়ালটন এমডি : নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাশাপাশি ওইএম (ওরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) পদ্ধতির আওতায় ফ্রিজ, টিভি, এসি, কম্প্রেসর, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ব্লেন্ডার, রাইস কুকার, ইলেকট্রিক ফ্যানসহ বিভিন্ন ধররেণ হোম ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। বর্তমানে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটনের তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরাক, ইয়েমেন, নাইজেরিয়া, ঘানা, পূর্ব তিমুর, তুরস্ক, জার্মানি, পোল্যান্ড, গ্রিসসহ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের ৪০টিরও বেশি দেশে ।
পণ্য উৎপাদন পর্যায়ে ‘ফিট ফর অল’ নীতি অনুসরণ করছে ওয়ালটন। অর্থাৎ ওয়ালটন নিজস্ব কারখানায় বিশ্বের যেকোনো দেশের আবহাওয়া উপযোগি এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশের ক্রেতাদের রুচি, অভ্যাস, পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী উচ্চ গুণগতমানের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়ান্সেস উৎপাদন করছে। ফলে ওয়ালটনের তৈরি পণ্য বৈশ্বিক ক্রেতাদের আস্থা জয় করে নতুন নতুন দেশগুলোতে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে অতি দ্রুত।
কালের কণ্ঠ : ওয়ালটনের গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাই?
ওয়ালটন এমডি : অল্প সময়ের মধ্যে ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে উদ্ভাবণী ও সৃজনশীল পণ্য। ওয়ালটন শুরু থেকেই প্রযুক্তির আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদ্ভাবণী ডিজাইন ও মডেলের পণ্য উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে । সেজন্য পণ্য গবেষণা ও উন্নয়ন তথা আরএনডি খাতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ আরএনডি বিভাগ গড়ে তুলেছে ওয়ালটন। মোট বিনিয়োগের প্রায় ২০ শতাংশ ব্যয় করছে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে কর্মী নিয়োগ, নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন, উৎপাদন লাইন থেকে শুরু করে কোয়ালিটি কন্ট্রোল বা মান নিয়ন্ত্রণ বা কিউসি বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাবে অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে। ওয়ালটন কারখানায় রয়েছে পণ্য ভিত্তিক আলাদা আরএনডি বিভাগ। এসব আরএনডি বিভাগে সম্মিলিতভাবে ৫ শতাধিক প্রকৌশলী নিয়োজিত রয়েছেন। আরো শতাধিক প্রকৌশলী কাজ করছেন মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগে। প্রতিনিয়ত গবেষণার মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও মডেলের সব পণ্য উৎপাদন করছেন তারা। নিশ্চিত করছেন পণ্যের সর্বোচ্চ গুণগতমান। ফলে ওয়ালটন মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা অঞ্চলের সর্বত্র স্বীকৃত মান নিয়ন্ত্রণ সনদ অর্জন করেছে। এছাড়া সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেস্টিং ল্যাব ‘এসজিএস’ (ঝএঝ) এর কাছ থেকে অর্জন করেছে সিই (ঈঊ), আরওএইচএস (জঙঐঝ), ইএমসি (ঊগঈ) ইত্যাদি সনদ। যেগুলো ইউরোপের বাজারে পণ্য রপ্তানির জন্য অত্যাবশ্যক। ফলে ইউরোপের জার্মানি, পোল্যান্ড ও গ্রিসে অল্প সময়ের মধ্যে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে ওয়ালটন।
কালের কণ্ঠ : ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ওয়ালটনকে নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
ওয়ালটন এমডি : স্থানীয় বাজারের শীর্ষে পৌঁছার পর ওয়ালটন নির্ধারণ করেছে ‘ভিশন ২০৩০’। অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা ৫ টি গ্লোবাল ব্র্যান্ডের তালিকায় স্থান করে নেওয়া। সেজন্য দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়ার মতো বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ওয়ালটন পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে টার্গেট নেয়া হয়েছে। আর তাই প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, উৎপাদন লাইন, মান নিয়ন্ত্রণ বা কিউসি বিভাগ ও পণ্য পরীক্ষাগার বা টেস্টিং ল্যাবে যুক্ত করা হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ। সেইসঙ্গে ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের অভিজ্ঞ, উচ্চ প্রশিক্ষিত ও দক্ষ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে বিশেষজ্ঞ দল। তারা ওয়ালটন কারখানায় গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলোর প্রচলিত পণ্যের ডিজাইন, গুণগতমান ও দামের দিক থেকে প্রতিযোগি সক্ষম পণ্য তৈরিতে কাজ করছেন। নিজস্ব কারখানায় আমদানিকারকের দেয়া চাহিদা মোতাবেক ভিন্ন ভিন্ন দেশের আবহাওয়া; ক্রেতার রুচি, অভ্যাস, পছন্দ ও ক্রয়ক্ষমতা অনুয়ায়ী পণ্য তৈরি হচ্ছে। ওয়ালটন পণ্যের ডিজাইন যুযোপযোগি, উন্নত মান এবং দাম তুলনামূলক সাশ্রয়ী হওয়ায় বহির্বিশ্বে ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতা চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।
কালের কণ্ঠ : সম্প্রতি পুঁজিবাজারে গিয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ওয়ালটন শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিদান কিভাবে দেবে ওয়ালটন?
ওয়ালটন এমডি : পুঁজিবাজারে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের তালিকাভুক্তি ক্ষুদ্র ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তাই ওয়ালটন শেয়ারের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত পরিমানের চেয়ে সাড়ে ৯ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ে। বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহের ফলে স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরুর পর টানা ৮ দিন দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে ওয়ালটন শেয়ার।
পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন পর দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স কম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের আইপি আসার পাশাপাশি ওয়ালটনের শক্তিশালী আর্থিক ও সার্বিক ব্যবসায়িক চিত্র বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহী করে তুলেছে। শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ও নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ভালো অবস্থানে থাকায় কম্পানিটির আইপিও আবেদনে আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা।
ওয়ালটন শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টির জন্য কিছু বিশেষ প্যারামিটার ভূমিকা রেখেছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ২০ শতাংশ কম মূল্যে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে।
দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শেয়ার প্রতি মুনাফা বা ইপিএস নিয়ে তালিকাভুক্ত হয়েছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের মতো ইপিএস নিয়ে আগে কোনো কম্পানি আইপিওতে আসেনি। এ ছাড়া ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ও শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) খুবই ভালো অবস্থানে। দেশের বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজের ৭০ শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার, বিশ্বের ৪০টি দেশে পণ্য রপ্তানিসহ ধারাবাহিক ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় ওয়ালটন শেয়ারে বিনিয়োগ করে ভালো লভ্যাংশ পাবেন এমন প্রত্যাশাই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
ওয়ালটন শেয়ারের প্রতি সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থা রক্ষার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা। আর তাই আইন অনুসারে, কাট-অফ প্রাইসের ১০ শতাংশ কমে (ডিসকাউন্ট) আইপিওতে শেয়ার ইস্যুর বিধান থাকলেও সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থ এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে ২০ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার ২৫২ টাকায় ইস্যু করেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরে অর্থাৎ ২০১৯-২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ওয়ালটনের পরিচালনা পর্ষদ।
কালের কণ্ঠ : ওয়ালটনের বিকাশ ও অগ্রগতিতে কি ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
ওয়ালটন এমডি : আমরা এখন নলেজ ও টেকনোলজি বেইজড চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা ডিজিটাল বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে। এর ফলে সব টেকনোলজি ও উৎপাদন পদ্ধতি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করাই ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন শিল্পখাতের জন্য এক বড় বিষয়। তবে ওয়ালটন এটিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। কেননা ওয়ালটন শুরু থেকেই প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে উৎপাদন লাইন, পণ্য গবেষণা ও উন্নয়ন বা আএনডি বিভাগ, টেস্টিং ল্যাব ও কিউসি বা মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সর্বত্র অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি সংযোজন করছে। ক্রেতাদের হাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্য তুলে দিতে ওয়ালটন কারখানায় রয়েছে প্রতিটি পণ্যের পৃথক পৃথক আরএনডি। এসব আরএনডি সম্মিলিতভাবে নিয়োজিত ৫ শতাধিক মেধাবী ও দক্ষ প্রকৌশলীরা উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে নিয়মিত গবেষণা চালাচ্ছেন। আর তাই বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির গ্লোবাল মডেলের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সেরা ৫ টি গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের তালিকায় উঠে আসার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
মন্তব্য