<p style="text-align:justify">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ১৮ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জনকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। আগামী সিন্ডিকেট সভায় তারা উপস্থিত থাকবেন না। </p> <p style="text-align:justify">রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ।</p> <p style="text-align:justify">তিনি জানান, ১৮ জন সিন্ডিকেট সদস্যের মধ্যে ডিন, প্রভোস্ট, প্রভাষক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সদস্যরা আর সেসব ক্যাটাগরির প্রতিনিধিত্ব করেন না। পরবর্তী সভা থেকে তারা আর আমন্ত্রণ পাবেন না।</p> <p style="text-align:justify">ওই পাঁচজন হলেন সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরির মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, প্রভাষক ক্যাটাগরির মিসেস মাহিন মুহিত, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরির আবু মুহাম্মদ আহসান, ডিন ক্যাটাগরির আব্দুস ছামাদ ও প্রভোস্ট ক্যাটাগরির ড. মাসুদুর রহমান।</p> <p style="text-align:justify">প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা নিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এটি বিজ্ঞ আইনজীবীদের বডি ল রিভিউ কমিটির কাছে পাঠাই। এই কমিটির সদস্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. নাইম আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইমাম হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আমাদেরকে দুটি পরামর্শ দিয়েছেন।’</p> <p style="text-align:justify">প্রথমত ডিন এবং প্রভোস্ট ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শিক্ষকরা তাদের প্রতিনিধিত্বকারী পদ ডিন কিংবা প্রভোস্ট পদে যদি আর বহাল না থাকেন, তাহলে তারা যে প্রতিনিধিত্বের কারণে নির্বাচিত হয়েছিলেন সেটি আর থাকছে না। ফলে তাদের পরবর্তী সভা থেকে আমন্ত্রণ না জানালেও আইনগত জটিলতায় পড়তে হবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।</p> <p style="text-align:justify">দ্বিতীয়ত, শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিতদের অনেকের পদোন্নতি হয়েছে, প্রতিনিধিত্বের জায়গায় না থাকায় তাদেরকেও আমন্ত্রণ না জানানোতে কোনো জটিলতা থাকল না।</p>