<p>গত বছরের মতোই পোষ্য কোটা বহাল রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের জন্য বিশেষ কোটা বাতিল করা হয়েছে। শুধু সন্তানরা কোটার আওতায় ভর্তি হতে পারবেন।</p> <p>বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।</p> <p>বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রসহ ঢাকা, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে এ, বি ও সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিট (ব্যবসায়), ১৯ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিট এবং ২৬ এপ্রিল ‘সি’ ইউনিট (বিজ্ঞান) পরীক্ষার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন এক শিফটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক আবেদন ৫-১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবং ২০ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ বছরও প্রাথমিক আবেদন ফি ৫৫ টাকা এবং চূড়ান্ত আবেদন ফি ‘বি’ ইউনিটে (বাণিজ্য) ১১০০ টাকা ও ‘এ' এবং 'সি' ইউনিটে ১৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।</p> <p>এদিকে পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও রাবির শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন। পোষ্য কোটা বাতিল না করলে তিনি আগামী রবিবার থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।</p> <p>এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘বিগত ৪৭ বছর ধরে এই কোটা চালু আছে। আমিই প্রথম এটিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল এই কোটা রিভিউয়ের জন্য। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে। কোটা সংস্কারে তাদের জোরালো দ্বিমত ছিল। তবু কোটা ৪ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশে নামানো হয়েছে।’</p> <p>আলটিমেটামের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদেরও বুঝতে হবে যে সবাইকে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে হয়। এ বছর কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে কোটা আরো কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’</p> <p>উল্লেখ্য, এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ইউনিটে ৮০টি প্রশ্ন থাকবে এবং প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।</p>