<p style="text-align:justify">সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবেন সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক। তবে প্রতিটি বিদ্যালয়ই এই শিক্ষক পাবে না। প্রাথমিকভাবে দুই হাজার ৫৮৩টি ক্লাস্টারে একজন করে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তাঁরা ওই ক্লাস্টারের প্রতিটি স্কুলে এই দুটি বিষয়ে শিক্ষা দেবেন।</p> <p style="text-align:justify">পরে সরকার প্রয়োজন মনে করলে দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে এই দুই বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ কালের কণ্ঠকে বলেন, সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ক্লাস্টারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসে। প্রতিটি ক্লাস্টারে একজন সংগীতবিষয়ক শিক্ষক ও একজন শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নিয়োগবিধি সংশোধনের পর খুব দ্রুতই আমরা নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করব।’</p> <p style="text-align:justify">মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সংগীত বিষয়ে দুই হাজার ৫৮৩ জন এবং শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক দুই হাজার ৫৮৩ জন শিক্ষকের পদ সৃজন করা রয়েছে। এর আগে গত ২ মে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির ১১তম সভায় এই পদের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পাঁচ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষক নিয়োগে পদ সৃজনের প্রস্তাবে সম্মতি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।</p> <p style="text-align:justify">প্রশাসনিক উন্নয়ন কমিটির সভার পর অর্থ বিভাগের সম্মতি নিয়ে সচিব কমিটিতে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেখান থেকে অনুমোদনের পর শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই মন্ত্রলালয়ের।</p> <p style="text-align:justify">প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২০ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব তৈরি করা হয়। সেই সময় নতুন করে এক লাখ ৬৯ হাজার ১২৪টি শিক্ষকের পদ সৃজনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এসব পদের মধ্যে দুই হাজার ৫৮৩টি সংগীত, দুই হাজার ৫৮৩টি শারীরিক শিক্ষা, সাধারণ শিক্ষকের পদ ৯৮ হাজার ৩৩৮টি এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ ৬৫ হাজার ৬২০টি।</p> <p style="text-align:justify">এই প্রস্তাবের মধ্যে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পদ অনুমোদন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিডিপি-৪) আওতায় এসব শিক্ষককে বেতন-ভাতা দেওয়া হবে।</p>