<p>কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে নাশকতার কারণে স্কুল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। স্থগিত হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষাও। এতে শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নানা সংকটে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশা জানান তাঁরা।</p> <p>শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ‘মেধা বিকাশের আঁতুড়ঘর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মেধাবীদের বৈষম্য দূরীকরণে কোটা সংস্কার ছিল অসহিংস আন্দোলন। এরই মধ্যে আদালতের রায়ে এই দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে এই অসহিংস আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে একটি বিশেষ মহল দেশজুড়ে জ্বালাও-পোড়াও ও ভাঙচুর কর্মযজ্ঞ চালিয়েছে।</p> <p>এতে অন্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।’<br /> মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুলের (মটস) অটোমোবাইল ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী দানিজ মাহমুদ অন্তু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মেধাবৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের অসহিংস আন্দোলন করেছেন। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেই মেধা অন্বেশন থেকেই বঞ্চিত।’</p> <p>রাজধানীর মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলে, ‘চলমান পরিস্থিতিতে পড়াশোনার কোনো পরিবেশ দেখছি না। স্কুল বন্ধ। মিরপুর-১০ নম্বরে একটি কোচিংয়ে পড়তাম। সেটিও বন্ধ। পরিস্থিতি বিবেচনায় গৃহশিক্ষকও আসছেন না।</p> <p>এভাবে চলতে থাকলে পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। এতে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে আগামী বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।’</p> <p>শুধু স্কুল-কলেজ নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে হল ও ক্যান্টিন। নাশকতার মধ্যে গ্রামেও যেতে পারিনি। ঢাকায় আত্মীয় না থাকায় একটি মেসে (ভাড়া বাসা) উঠেছি। থাকা-খাওয়ায় বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অবস্থা একই রকম। নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীরা।’</p>