<p>রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের আন্দোলনে বেরোবি শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া আন্দোলন বিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ স্লোগান দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।</p> <p>শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর থেকে রংপুরের মর্ডান মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাঝে বেরোবি ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বক্তব্য দিতে আসেন এবং তিনি (পোমেল বড়ুয়া) বলেন, ‘আপনারা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন এতে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এভাবে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন না করি.........’  তাৎক্ষণিক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চারপাশ থেকে ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ স্লোগান দেন। পরে তিনি সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হন, আন্দোলন বাধা দেওয়া এবং বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পায় নাই।</p> <p>হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষার্থীরা।</p> <p>এদিকে গত ৫ জুলাই সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এরপর থেকে আন্দোলন তীব্রভাবে শুরু হয় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।</p> <p>শনিবার দুপুর রংপুরের মর্ডান মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। দেড় ঘণ্টা অবরোধ শেষে দুপুর তিন ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেয়।</p> <p>আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, এই বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা মানি না। কোটার কারণে মেধাবীরা সঠিক মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ৮০ পেয়েও চাকরি পাবে না, আর কোটাধারীরা সহজেই চাকরি পাবে, এই বৈষম্য সংবিধান পরিপন্থী।</p> <p>শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে পর্যন্ত কোটা ঠিক ছিল। নাতি-নাতনি বিষয়টা অযৌক্তিক। এক শতাংশ প্রতিবন্ধী বাদে সব কোটা বাতিল করতে হবে।</p> <p>রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করেছিলেন কিছু সময়ের জন্য। পরে তারা আবার রাস্তা ছেড়ে চলে গেছেন।</p>