<p>জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় যৌন নিপীড়ন ও হয়রানিমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত হয়।</p> <p>প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন কর্মজীবী নারী পরিষদ, এসিড সাইবার কমিটি ও নিপীড়কের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।</p> <p>সমাবেশে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রক্টরসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ক্ষমতার বলয় থেকে নিয়োগ পেয়ে থাকে। নিয়োগের পর তারা ক্ষমতার বলয়ের মনোরঞ্জন করতে গিয়ে নিজ দায়িত্বের দায়বদ্ধতা ভুলে যান। তাদের কোন জবাবদিহিতা, দায়বদ্ধতা থাকে না। নারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহপাঠী ও শিক্ষক, কর্মস্থলে সহকর্মী দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। একটা নিপীড়ন মুক্ত ও হয়রানিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি জানাচ্ছি।’</p> <p>তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফাওজিয়া মোসলিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। এখন সেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়নের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’</p> <p>এদিকে অবন্তিকার মৃত্যুর বিষয় নিয়ে কাউকে রাজনৈতিক খেলা খেলতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের আয়োজনে অবন্তিকার স্মরণে শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।</p> <p>তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সাত কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করবে, তবে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যাতে সুষ্ঠু হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।’</p>