<p>বাংলাদেশের ষষ্ঠতম শাখা হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করল বই-বিহঙ্গ। আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ মাঠ সংলগ্নে একদল স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণীর হাত ধরে যাত্রা শুরু করল ‘বই-বিহঙ্গ’ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বিনা মূল্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বইপ্রেমীরা তাদের পছন্দের বই পড়তে পারবে বই-বিহঙ্গ থেকে। সাপ্তাহিক বই লেনদেনের সময় সংগ্রহ করতে হবে বই। পড়া হলে আবার ফিরিয়ে দিতে হবে।</p> <p>উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, আলিমুজ্জামান টুটুল। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, তাজমুল যায়েম। আরো উপস্থিত ছিলেন বই-বিহঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিনিধি মামুন হোসেন, মো. সাব্বির খান ও তমাসহ প্রায় শতাধিক পাঠক।</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, ‘এত বই পড়ুয়া দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব বই বিহঙ্গে বই প্রদানের। একই সাথে বই বিহঙ্গের প্রত্যেক সদস্যকে আমি প্রতি মাসে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স দেব। আমি চাই বই পড়ার মাধ্যমে দেশে আলোকিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাক।’</p> <p>পাঠক অনুভূতি জানাতে গিয়ে আসিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি চাই মানুষ যেন বই পড়ায় আগ্রহী হয়। একই সাথে যারা নিয়মিত পড়ি তারা যেন পড়াটা চলমান রাখি। বইয়ের প্রতি আমাদের চাওয়া হচ্ছে নতুন কিছু জানা, ভালো কিছু শেখা। আশা করি সবাই ভালো বইগুলো পড়ব।’</p> <p>সমন্বয়ক মামুন হাসান বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল নিজের ক্যাম্পাসে বইপড়ুয়াদের একটি প্ল্যাটফরম তৈরি করার। আমি আশাবাদী যে এই বইগুলো পড়ার মাধ্যমে আমরা নিজেদের জ্ঞানের প্রসার ঘটাবেন, একই সাথে ভবিষ্যতে বিসিএস বা অন্যান্য পরীক্ষায় সহায়তা পাবেন। এই ক্যাম্পাসে যে এতজন বইপ্রেমী আছে তা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আপনারা বই পড়বেন এবং অন্যদেরও পড়তে উৎসাহিত করবেন, এটাই প্রত্যাশা।’</p> <p>শুরুতেই উদ্বোধনীর পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৮৬ জন বইপ্রেমী সদস্যের মাঝে বই বিনিময়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বই-বিহঙ্গ। এ সময় ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।</p>