<p>ট্রান্সজেন্ডারদের মানসিকভাবে বিকৃত দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ কোটা বাতিল বা কোটা থেকে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বাদ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীদের একাংশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।   </p> <p>মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা স্বেচ্ছায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করে বা পরিপূর্ণ নারী বা পুরুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও বৈশিষ্ট্য থাকার পরও যারা নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় দেন, তাঁরাও ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ কোটার মাধ্যমে সুবিধা ভোগ করবেন। তাই এই কোটা থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি বাদ দিতে হবে।</p> <p>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত শিক্ষাবর্ষের (২০২২-২৩) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রগ্রামে ভর্তিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে হিজড়াদের জন্য ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ নামে একটি কোটা চালু করে। তবে সেই শিক্ষাবর্ষে এই কোটায় কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন শুরু হয়। এবারের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতেও কোটার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এবার ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে শিক্ষার্থীদের একাংশ এই কোটার বিরোধিতা করেন। তাঁরা এই কোটা বাতিল অথবা কোটা থেকে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন। </p> <p>আজ মানববন্ধনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ জোবায়ের বলেন, ‘হিজড়া প্রাকৃতিক বিষয়। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার ভিন্ন বিষয়। একজন পুরুষের তিনটি বাচ্চা হওয়ার পর সে যদি দাবি করে যে আমি এখন নারী হয়ে যাব। এখন তাকে কি নারী মেনে নেওয়া হবে? তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কুলার থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের কোটা বাতিল করতে হবে।’ </p> <p>বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থী প্রিয়া বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডার আর হিজড়া এক নয়। ট্রান্সজেন্ডারদের প্রাকৃতিক নারী-পুরুষদের মতো লিঙ্গ থাকে। কিন্তু তাঁরা মানসিকভাবে বিকৃত। তাঁদের মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই মুহূর্তে ঢাবি বিশেষ কোটা চালুর কারণে সমাজে একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।’</p> <p>মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করা; দ্রুত সময়ে এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা; হিজড়া জনগোষ্ঠীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিঘ্নে পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া; ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়ধারীদের কোটা ব্যবস্থায় আনার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে প্রমোট করে আইন এবং সংবিধানবিরোধী কাজ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে তাঁরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি এবং ট্রান্সজেন্ডার শব্দ বাদ দিতে সাত দিনের আলটিমেটাম দেন।</p>