<p style="text-align:justify">এবার হাওরে বোরো ধানের ফলন ভাল হওয়ায় ধান কাটা, মাড়াই আর শুকানোর কাজে ব্যস্ত কৃষক। তবে ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় তারা। দাদন ব্যবসায়ী আর পায়কারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। চারা রোপণের সময় নেওয়া টাকায় বোরো জমি চাষবাদ করেছিলেন তারা। সেই টাকা ফেরত দিতে বৈশাখ মাসে কম দামে ধান বিক্রি করছেন। অনেকেই নিজেদের নানান অভাব আর প্রয়োজন মেটাতে বিক্রি করছেন ধান।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দীপ্ত স্টার হান্ট এর ফাইনালে ৮ জন" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/04/27/1745736427-07612e59f2b892079d43500c43ce1f2e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দীপ্ত স্টার হান্ট এর ফাইনালে ৮ জন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2025/04/27/1509815" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এরপর সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষকগণ আগামী দিন গুলো কি দিয়ে চলবেন তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে।</p> <p style="text-align:justify">সুনামগঞ্জে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে দাবি কৃষি বিভাগের। এদিকে চলতি বছর জেলার কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা হিসাবে ১৪৪০ টাকা মণ দরে ১৪ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যা সুনামগঞ্জে যে ধান উৎপাদিত হয় তার ১ শতাংশ মাত্র।</p> <p style="text-align:justify">হাওর পাড়ের সচেতন মহল বলছেন, হাওরাঞ্চল থেকে সরকার যে পরিমাণ ধান ক্রয় করে তা খুবই সামান্য। এ কারণে কৃষকগণ ধানের ন্যায্য মূল্য পান না। কৃষককের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার যে অধিকার সেই অধিকার রক্ষায় মুখে নয় বাস্তবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ধান সংগ্রহের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে কম করে হলেও ৫-৬ টনের বেশি পরিমাণ ধান ক্রয় করলে তারা উপকৃত হবেন। সেই সঙ্গে গুদামে যে সিন্ডিকেট আছে তা কঠোর হাতে দমন করতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া নিয়ে আসিফ মাহমুদের পোস্ট" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/04/27/1745736319-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া নিয়ে আসিফ মাহমুদের পোস্ট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/social-media/2025/04/27/1509814" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><br />  <br /> খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাওরাঞ্চলে বেশিরভাগ কৃষকগণ সুদখোর মহাজন ও ফড়িয়া ধান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে চাষাবাদ করেন। সেই টাকা পরিশোধ করার জন্য কম পরিমাণে সরকারি গুদামে ধান দিতে গেলে নানা ঝামেলা ও ধানে সঠিক তাপমাত্রাসহ নীতিমালা অনুযায়ী দিতে হয়। এতে সময়ও লাগে অনেক। অনেক সময় দিতেও পারেননা কৃষক। </p> <p style="text-align:justify">এছাড়াও আছে পরিবহন সমস্যা, এতে খরচও বেশি হয়। এত সব সমস্যা নিয়ে হাওর পাড়ের কৃষকগণ সরকারি খাদ্য গুদামে ধান না দিয়ে স্থানীয় সিজনাল পায়কার, ব্যবসায়ী, মধ্যস্তভোগী ও সুদ খোর মহাজনের কাছে বিক্রি করছে। অপর দিকে, খাদ্য গুদামে ধান দেওয়ার জন্য তৈরি হওয়া শক্তিশালী সিন্ডিকেট ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন। তারা কৃষকদের কাছ থেকে কৌশলে কম টাকার বিনিময়ে কার্ড নিয়ে নিজেরাই গুদামে ধান দিচ্ছেন। এতে কৃষকরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ডা. তাসনিম জারাকে পাঠানো আইনি নোটিশ প্রত্যাহার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/04/27/1745734296-1bc38d7e6b4208305d4953f07e8781d0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ডা. তাসনিম জারাকে পাঠানো আইনি নোটিশ প্রত্যাহার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2025/04/27/1509806" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">জেলার খরচার হাওরের কৃষক সাদিক মিয়া জানান, সরকানি গুদামে ধান বিক্রিতে জঠিলতা ও সিন্ডিকেটের দৌরত্বের কারণে অসহায় তারা। কৃষকদের কৃষি কার্ড প্রতি বছরেই সিন্ডিকেটের লোকজন টাকা দিয়ে নিয়ে গুদামে ধান বিক্রি করছে। যার ফলে মধ্যস্বত্তভোগী ও ফড়িয়া ধান ব্যবসায়ীরা ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা হাওরপাড়ের কৃষকদের কাছ থেকে কৌশলে কম দামে ধান কিনছেন। আর কৃষকরাও এক প্রকার বাধ্য হয়ে তা বিক্রি করছেন।</p> <p style="text-align:justify">কৃষক মইনুল ইসলাম জানান, আবহাওয়ার সঠিক তথ্য না পাওয়ায় কৃষকগণ ক্ষতির শিকার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। আমরা সরকারি খাদ্য গুদামে আবেদন করলে নাম ওঠে না। অথচ ঐ সিন্ডিকেট কার্ড নিয়ে গেলে ঠিকই নাম ওঠে, ধান গুদামে দিতেও পারে। প্রতি বছর গুদামে কৃষকরা নিয়ম মেনে ৫০ পার্সেন্ট দিতে পারলেও বাকী ধান সিন্ডিকেট করা লোকজকেই দিতে হয়। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে সরাসরি কৃষকদের থেকে ধান কেনার ব্যবস্থা সরকার করলে আমরা লাভবান হব।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বাস চালাবেন বেতনভুক্ত চালকরা : সড়ক উপদেষ্টা (ভিডিওসহ)" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/04/27/1745734860-1b8029606bf96e266fd8c3b9fbe12942.JPG" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বাস চালাবেন বেতনভুক্ত চালকরা : সড়ক উপদেষ্টা (ভিডিওসহ)</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2025/04/27/1509807" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><br />  <br /> জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, জেলায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৫ পরিবার বোরো চাষাবাদের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭৭ জন কার্ডধারী কৃষক রয়েছেন। জেলার ১২টি উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ছোট বড় ১৩৭টি হাওরে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৫ হাজার ২শত কোটি টাকার বেশি।</p> <p style="text-align:justify">সুনামগঞ্জ জেলা ধান চাল ক্রয় কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, 'স্থানীয়ভাবে ধান ক্রয় করে মজুদ ও পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহের সুযোগ নেই। নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম চলবে। সিন্ডিকেট ও ফরিয়া ব্যবসায়ীদের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।'<br />  <br /> সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ জানান, আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করছি তারা যেন গুদামে ধান দেয়। এ বছর বেশি কৃষক ধান দিতে পারেন তার জন্য লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দেড় মেট্রিক টন করা হয়েছে। ধান চাল সংগ্রহে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। কৃষকদের সুবিধার জন্য ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ও পরিমাণ আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।</p>