<p>‘ভারত এ দেশের সোনালি আঁশ পাটশিল্প ধ্বংস করেছিল। আজকে তারা দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত গার্মেন্টসশিল্পকে ধ্বংস করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে। তারা এ দেশের শ্রমিকদের পেটে লাথি মারতে চায়।’ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান এসব মন্তব্য করেন।</p> <p>শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ফেডারেশনের ঢাকা জেলা উত্তরের উদ্যোগে বিশাল শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।</p> <p>প্রধান অতিথি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর পাটের গুদাম আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। সেই দেশকে সহযোগিতা করেছিল আওয়ামী লীগ। ভারত আমাদের দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে চায়। তারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করতে চায়। তাদের গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হলে এ দেশের মালিকদের তেমন ক্ষতি হবে না। ক্ষতি হবে শ্রমিকদের। শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে যাবে। শ্রমিকদের ঘরে ভাত থাকবে না। ভারতীয় দোসরদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মালিক-শ্রমিক ঐক্য করতে হবে।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমরা সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সাম্য প্রতিষ্ঠা করার বিধান ইসলামের কাছে। আর কারো কাছে নেই। এ দেশের শ্রমিকদের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামি শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দাবি করছি শ্রমিকদের জন্য রেশনিংব্যবস্থা চালু করতে হবে। আমরা চাই, মালিক যা খাবে, শ্রমিকরাও তাই খাবে এই নীতি চালু করতে। এটি রাসুলের বিধান।’  </p> <p>অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের দোসররা গার্মেন্টসশিল্প ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তারা স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আনসার, রিকশাচালক ও সনাতনধর্মীদের উসকে দিয়ে প্রতিবিপ্লব করতে চেয়েছিল। তারা এসব ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে পোশাকশিল্প ধ্বংস করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিগত স্বৈরাচার সরকার গত ১৫ বছরে এ শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে বৈঠকের পর বৈঠক করেছে। তারা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখন শ্রমিকদের দায়িত্ব হচ্ছে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করা। আশা করি, সরকার আগামী দিনে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’</p> <p>তিনি শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। তাদের কুপরামর্শে গার্মেন্টস বন্ধ করা যাবে না। হঠাৎ করে রাজপথে নামা যাবে না। কারখানা ভাঙচুর করা যাবে না। সরকার যে ১৮ দফা দাবি মেনে নিয়েছে তা সব শ্রমিকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।</p> <p>সাধারণ সম্পাদক আল আমিনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আফজাল হোসেন, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি লস্কর মো. তসলিম, কবির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক ঐক্যের সভাপতি এ এ এম ফয়েজ হোসেন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন শহীদ, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহরাইনে সুলতান বাহার, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ফেডাশেনের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন, মো. মহিব্বুল্লাহ ও বাংলাদেশ প্রগতিশীল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার প্রমুখ।</p>