<p>দেশের পর্যটনকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে যথাযথ নিরাপত্তা না থাকলে, হোটেল-মোটেলগুলোর ভাড়া সাশ্রয়ী না হলে পর্যটকরা অনত্র (অন্য দেশে) চলে যাবে, যা দেশের পর্যটনশিল্পের জন্য ইতিবাচক নয়। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন ও হোটেল-মোটেল মালিকদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের চেয়ারম্যান ও পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক মহিউদ্দিন হেলাল।</p> <p>মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে ১১তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার-২০২৪, যা চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই মেলার উদ্দেশ্য ও সুযোগ-সুবিধা জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।</p> <p>তিন দিনব্যাপী আয়োজিত মেলার উদ্দেশ্য নিয়ে মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, পর্যটনশিল্পের স্থবির অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে চাই এই মেলার মধ্য দিয়ে। এই বার্তা মানুষের মধ্যে দেওয়াই এবারের মূল উদ্দেশ্য। মেলায় অনেক প্রতিষ্ঠান বিশেষ ছাড় দেবে। মেলায় কেউ টিকিট ক্রয় করলে বিমান বাংলাদেশ ১৫ শতাংশ ছাড় দেবে। সেটি দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন গন্তব্যের রুটের জন্য দেওয়া হবে। একই সঙ্গে মেলায় থাকবে সাশ্রয়ী মূল্যে প্যাকেজ ও হোটেল ভাড়ায় ছাড় প্রদান, যা সারা বছর ব্যবহার করা যাবে। এ রকম নানা সুবিধা দেওয়া হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এ রকম সুবিধা দেবে।</p> <p>অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পর্যটককে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না দিলে তারা অন্যত্র যাবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের স্থানীয় পর্যায়ের জনগণের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন যারা আছেন, তাদেরও আরো বেশি নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। আর পর্যটন এলাকার হোটেল-মোটেলের ভাড়ার লাগাম টানতেই হবে। না হলে পর্যটকরা অনত্র চলে যাবে। একইভাবে বিদেশি পর্যটকরা যখন বাংলাদেশে আসতে চায়, আমরা ভাড়ার ক্ষেত্রে সমস্যার মধ্যে পড়ি। যে লোকটি থাইল্যান্ড, ভারত, নেপালের পাঁচতারা মানের হোটেলে অবস্থান করে, সেই মানুষটিই যখন বাংলাদেশে আসতে চায় তখন দেখা যায় ভাড়ার অনেক ফারাক। এটি আমরা নানা সময়ে বলেছি, এখনো বলছি—এটিকে সাশ্রয় ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ করতে হবে। সব হোটেলের মালিকরা মিলেই এটা করতে হবে।’</p> <p>মেলায় জানানো হয়, মেলার আয়োজন করছে পর্যটন বিচিত্রা। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের সহযোগিতায় মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলার প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা। প্রবেশ করা কুপনের বিপরীতে র্যাফল ড্রয়ের আয়োজন থাকবে। বিজয়ীদের দেওয়া হবে এয়ারলাইনস টিকিটসহ বেড়ানোর আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার।</p> <p>মেলার টাইটেল স্পন্সর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, প্রাইম পার্টনার কান্ট্রি মালদ্বীপ, হোস্ট কান্ট্রি বাংলাদশ, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, ব্যাংক পার্টনার মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, রিসোর্ট পার্টনার ছুটি গ্রুপ, ট্রান্সপোর্ট পার্টনার কনভয় সার্ভিস, কানেক্টিভিটি পার্টনার এডিএন টলিকম, ক্রুজ পাটনার ঢাকা ডনার ক্রুজ।<br /> সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশে মালদ্বীপ হাইকমিশনের থার্ড সেক্রেটারি মিজ আশিখ শামলা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মোহাম্মদ শামসুল করিম, ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের পরিচালক ওলিভার লোরেক্স, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এইচ এম হাকিম আলী, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) সভাপতি মো. খবির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।</p>