<p style="text-align:justify">বাজারে গ্রাহকদের চাহিদামতো সিম সরবরাহসহ ১৪ দফা দাবি জানিয়েছে টেলিটক ডিলার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (টিডিএবি)। সংগঠনটির অভিযোগ, বিগত সরকারের আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে বর্তমান সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্ট টেলিটককে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">গতকাল রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সদস্যরা। টেলিটক ডিলারদের ন্যায্য পাওনা আদায় এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন সংস্কার করে টেলিটককে লাভজনক প্রতিষ্ঠান করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টিডিএবি।</p> <p style="text-align:justify"><img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/09.September/16-09-2024/2/kalerkantho-ib-1a.jpg" height="204" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/09.September/16-09-2024/2/kalerkantho-ib-1a.jpg" style="float:left" width="450" />অনুষ্ঠানে টিডিএবির সমন্বয়ক মো. রেজাউল করিম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘টেলিটকের বর্তমান সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের একমাত্র কাজ হলো টেলিটককে একটি লস প্রজেক্ট হিসেবে দাঁড় করানো। এরপর তৃতীয়পক্ষের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করে বড় আকারের কমিশন বাণিজ্য করা। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কেটে সিমের চাহিদা থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী সিম ডিলারদের কাছে দেওয়া হয় না। রিটেইলারদের টেলিচার্জ ও পল্লী বিদ্যুৎ বিক্রি করার জন্য টেলি-পে অ্যাপ সামান্য অজুহাতে মাঝে মাঝে বন্ধ করে দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘সিম অ্যাক্টিভেশন এবং প্রথম রিচার্জ করতে অন্তত ২০ মিনিট সময় লাগে। এতে রিটেইলাররা টেলিটকের সিম বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করে। টেলিটকের টাওয়ারে ব্যাটারি ব্যাকআপের ব্যবস্থা নেই। কারেন্ট চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্কও চলে যায়।</p> <p style="text-align:justify">আরো কষ্টের কথা হলো আমাদের এবং রিটেইলারদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিম প্যাকেজের প্রাপ্য ইউজেস কমিশন অফিস অর্ডার থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত প্রদান করা হয়নি। এসব কারণে বর্তমানে আমাদের ডিলাররা প্রতি মাসে আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।’</p> <p style="text-align:justify">ডিলারদের পক্ষে ১৪ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ডিলার হাউসের এসআর, সুপারভাইজার ও বিপিদের বেতন বাবদ সব বকেয়া কম্পেনসেশন অবিলম্বে পরিশোধ করা; ডিলারদের থেকে নেওয়া পল্লী বিদ্যুৎ বা টেলিচার্জ বাবদ অতিরিক্ত সিকিউরিটি ডিপোজিট ফেরত দেওয়া এবং প্যাকেজের ইউজেস কমিশন পরিশোধ করা।</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া বিগত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ রদবদল করে সংস্কার এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কর্মকর্তাদের টেলিটকে নিয়োগ দেওয়া থেকে বিরত রাখা; টেলি-পে অ্যাপস ও সিম অ্যাক্টিভেশন অ্যাপ আপগ্রেড করা; সব টাওয়ারে ব্যাটারি ব্যাকআপরে ব্যবস্থা করা; দ্রুত সব টুজি টাওয়ারকে ফোরজিতে রূপান্তর করা; ডাটা ব্যবহারের জন্য স্পেশাল স্টুডেন্ট সিম প্যাকেজ আনা। এসব দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত সারা দেশের ডিলাররা লিফটিং ও মার্কেটিংয়ের কাজ বন্ধ রাখবে বলেও জানানো হয়।</p> <p style="text-align:justify">সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন টিডিএবির সমন্বয়ক মো. নুরুল ইসলাম, রাজশাহীর ডিলার মো. তোফায়েল হোসেন তপু, ভৈরবের ডিলার মকলেছুর রহমান সজিব প্রমুখ।</p>