<p>বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের বেইসমেন্ট ১ ও ২-এ নতুন আঙ্গিকে চালু হলো 'মোবাইল সিটি'। যেখানে এক সঙ্গে পাওয়া যাবে দেশের সকল কম্পানির মোবাইল ফোন ও এক্সেসরিজ। একই সঙ্গে লেভেল ৮-এর ব্লক এ-তে সম্পূর্ণ নতুনভাবে চালু হলো দেশের উন্নত ও অত্যাধুনিক ফ্যাশন হাউসগুলো নিয়ে 'অ্যাপারেল কর্নার'।</p> <p>রবিবার বিকেল ৩টায় বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের 'মোবাইল সিটি' ও 'অ্যাপারেল কর্নার' আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের (বিসিডিএল) ইনচার্জ মেজর (অব.) মো. মহসিনুল করিম।</p> <p>তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মোবাইল সিটিতে রয়েছে ১৮১টি দোকান। এসব দোকানে আইফোন, স্যামসাং, অপো, ভিভো, শাওমি, রিয়েলমি, ইনফিনিকস, টেকনো, ওয়ান প্লাস, অরাইমোসহ সব ব্র্যান্ডের ফোনসেট ও এর সরঞ্জাম পাওয়া যাবে। আর অ্যাপারেল কর্নারে থাকছে ফ্রিল্যান্ড, ক্লাবহাউস, সেইলর, ভোগ বাই প্রিন্স, আর্টিসান, মেনস ওয়ার্ল্ড, ইনফিনিটি মেগামল, ইক্সটাসি ও স্প্ল্যাশ ব্র্যান্ডের শপ।</p> <p><img alt="বসুন্ধরা" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nahid/Untitled-22a.jpg" width="1000" /></p> <p>বিসিডিএলের ইনচার্জ মেজর (অব.) মো. মহসিনুল করিম বলেন, 'বাংলাদেশের স্বপ্নপুরুষ, আমাদের বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ওনার স্বপ্ন ১০০ বছরের জন্য একটা প্রতিষ্ঠান থাকবে। এবং সেটা এক নম্বর হয়ে। আমরা সফলভাবে ২০ বছর পার করেছি। ওনার ভিশন হলো বসুন্ধরা সিটিকে আবার পুনরায় সাজিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করা। পরের ৮০ বছরের জন্য এই শপিং মল ১ নম্বর অবস্থান যাতে ধরে রাখতে পারে সেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা এটাকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দিয়ে যাবো। ইতোমধ্যে তৃতীয় প্রজন্ম এর নেতৃত্বের চলে এসেছে। আমরা যেভাবে এই প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছি, তাতে আগামী ১০০ বছর দেশে প্রথম অবস্থান ধরে রাখবে। এটা বাংলাদেশের শপিং কমপ্লেক্সের তাজমহল। আমরা এর রি-লঞ্চিং (পুনর্যাত্রা) করবো আগামী এপ্রিল মাসের ১ তারিখে। এতে বড়-বড় ব্র্যান্ডের দোকান থাকবে।</p> <p>তিনি বলেন, 'এখানে ৩৬১ টি দোকান ছিল, ইতোমধ্যে আমরা ১৬১টিকে একোমুডেড করেছি। বাকিগুলোর জন্য কন্সট্রাকশন চলছে। মোট ৩৮০টি দোকান থাকবে। মোবাইলের কমপ্লিট প্যাকেজ থাকবে। এই মোবাইল মার্কেটে যেভাবে নিচে এবং ওপরে লাইটিং করা হয়েছে, এভাবে দেশের কোনো মার্কেটে করা হয়নি। এপারেল সিটিটেও চমৎকার লাইটিং করেছি। যেখানে মানুষ আলোর খেলা দেখতে পাবেন। এটা শুধু মার্কেট নয়, এটা বিনোদনেরও জায়গা। মানুষ তাদের ফ্যামিলি নিয়ে আসবে ঘুরবে, চিপ প্রাইসে জিনিস কিনবে। আমরা ফিক্সট প্রাইজে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি, যা এ বছরের মাঝামাঝিতে গিয়ে চালু করবো। এখানে কোনো দামাদামি হবে না। এই যে নতুন ভাবে যাত্রা শুরু, আশা করি দেশের মধ্যে এটা একটা চমক সৃষ্টি করবে। সব মানুষের ঘোরা ও কেনাকাটা করার জন্য আদর্শ স্থান হবে। প্রতিদিন এখানে গড়ে এক লাখ লোক আসে, এর মধ্যে ২০ শতাংশ আসে ছবি তুলতে, ঘুরতে। এই যে ঘুরে বেড়ানোর জায়গা, এটা আমাদের চেয়ারম্যান স্যারের ভিশন।</p> <p>মোবাইল মিউজিয়ামের বিক্রয় প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান বাঁধন কালের  কণ্ঠকে বলেন, আগে আমাদের দোকান লেভেল ৬-এর এ ব্লকে ছিল। এখানে গ্রাহকদের সাড়া মোটামুটি ভালো পাওয়া যাচ্ছে। লোকজন আসছে, এখনো তো সবাই জানে না যে সব মোবাইলের দোকাল এক সঙ্গে করা হয়েছে। আমরা অনলাইনে প্রচারণা চালাচ্ছি। আশা করি এমন পরিবেশ ক্রেতারা উপভোগ করবেন।</p> <p>অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার জিয়াউল হক শিকদার, চিফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) মো. মাহবুবুল হক, বিসিডিএল'র মানবসম্পদ ও প্রকাশনা বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মেজর (অব.) মো. রবিউল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক (মেকানিক্যাল) মাহবুব মোর্শেদ খান প্রমুখ।</p>