<p>পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আতঙ্ক এবং মার্কিন ডলারের অস্থিরতার কারণে ভারতের পণ্য কিনতে রুপিতে মূল্য পরিশোধে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জাপান ও পশ্চিমা দেশের বাইরের কিছু দেশের আমদানিকারকরা। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এগিয়ে নিতে ভারতও নীতি সংশোধনের মাধ্যমে রুপিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দ্বার খুলে দিয়েছে।</p> <p>ভারতের শিল্পগ্রুপ ‘টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার’ মহাসচিব প্রবীর ভট্টাচার্য রুশ গণমাধ্যম স্পুটনিককে বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় পড়া রাশিয়া ও ইরানের মতো দেশের আমদানিকারকরা ভারতীয় পণ্যের জন্য রুপিতে মূল্য পরিশোধ করতে চাইছেন। অর্থনৈতিক অবরোধ এড়াতে তারা এ পথে বাণিজ্য এগিয়ে নিতে চান।</p> <p>প্রবীর ভট্টাচার্য আরো বলেন, প্রধান চা আমদানিকারক দেশ- যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জাপান, শ্রীলঙ্কা এবং চীনও ভারতের রপ্তানি পণ্য কিনতে রুপিতে মূল্য পরিশোধের সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে। বিশ্বব্যাপী অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনটি করতে চায় তারা।</p> <p>ভারত সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের এক নম্বর চা উৎপাদনকারী এবং চতুর্থ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। ২০২১ সালের হিসাব অনুসারে, ভারতীয় চা-এর মোট রপ্তানির প্রায় ১৭.৩ শতাংশ রাশিয়ায়, ১৩.৪ শতাংশ ইরানে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৮.৮ শতাংশ। চলতি বছর আমদানির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।</p> <p>অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন ডলারের বিকল্প অনুসন্ধান এখন সময়ের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় অর্থনৈতিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ স্বদেশী জাগরণ মঞ্চেরসহ আহ্বায়ক অশ্বনী মহাজনের মতে, বৈদেশিক বাণিজ্য এগিয়ে নিতে ভারতের এখন ডলারের বিকল্প খুঁজে বের করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী মাস ও বছরগুলোতে রুপিতে বিদেশি লেনদেন প্রসারিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।</p> <p>ভারতের মার্কিন ডলার থেকে পিছু হটার পেছনে অশ্বনী মহাজন ইরান ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবসা সম্প্রসারণে ভারতের আরও আগেই স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য উৎসাহিত করা উচিত ছিল।</p> <p>সূত্র: টেলিগ্রাফ, স্পুটনিক</p>