বিশ্ব অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে একটি বড় বাধা তৈরি করেছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। ফলে এ বছর বিশ্ব প্রবৃদ্ধি শ্লথ হবে, বিশেষ করে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশের প্রবৃদ্ধিও মন্থর থাকবে এ বছর। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রান্তিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে (ডাব্লিউইও) এ মন্তব্য করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে বিশ্বের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৪.৪ শতাংশ, যা সংস্থার অক্টোবরে দেওয়া পূর্বাভাসের চেয়ে কম।
বিজ্ঞাপন
গত বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি আসে ৫.৯ শতাংশ। কিন্তু এ বছর বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রবৃদ্ধিও মন্থর হবে, যা পুরো বিশ্বের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে। সংস্থা মনে করে করোনা মহামারি কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তার ওপর নির্ভর করছে অর্থনীতি সামনে কেমন যাবে। এ জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে টিকা কার্যক্রম চালোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
আইএমএফের নতুন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) গিতা গোপিনাথ বলেন, ‘সাহসী ও কার্যকর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে এ বছরই করোনামুক্তির বছর। ’ তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি দাঁড়াবে প্রায় ১৪ ট্রিলিয়ন ডলার। ’
এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৪.০ শতাংশ। এর পাশাপাশি চীনের প্রবৃদ্ধিও কমে হবে ৪.৮ শতাংশ। তবে ভারতের আগের মতোই ৯.০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে এ বছর। এ ছাড়া জার্মানি, ব্রাজিল, মেক্সিকোসহ অন্যান্য অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি কমবে। গিতা গোপিনাথ জানান, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম। তাঁর মতে, সরবরাহ ব্যবস্থায় যে বিঘ্ন তৈরি হয়েছে বছরের দ্বিতীয় ভাগে তা কেটে যাবে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমলেও তা উচ্চ পর্যায়ে থাকবে।