<p>দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি ২০২৫ সাল নাগাদ ২৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। গুগল ও টেমাসেক হোল্ডিংসের এক যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, স্মার্টফোন ক্রমান্বয়ে সহজলভ্য হওয়ায় প্রতিবছরই ইন্টারনেট প্রবেশ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে।</p> <p>ইন্টারনেট অর্থনীতি নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটি প্রথম গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ২০১৬ সালে। যাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল রাইড-হেইলিং, ই-কমার্স, অনলাইন ট্রাভেল এবং অনলাইন মিডিয়া। গতকাল সোমবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে অনলাইন খাদ্য সরবরাহ, মিউজিক গ্রাহক, ভিডিওসহ আরো কয়েকটি খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে এ অঞ্চলের ইন্টারনেট অর্থনীতির আকার দাঁড়াবে ৭২ বিলিয়ন ডলার, যা এক বছর আগের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ই-কমার্সে কেনাবেচা ২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে এ বছর। ২০২৫ সাল নাগাদ এর আকার চার গুণ বেড়ে ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। কারণ এ খাতে ভোক্তা আস্থা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর রাইড-হেইলিং খাতের অর্থনীতি দাঁড়াবে ৭.৭ বিলিয়ন ডলার। অনলাইন খাদ্য সরবরাহও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গুগল-টেমাসেকের গবেষণায় বলা হয়, গো-জেক এবং গ্র্যাব দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিদিনের অ্যাপে পরিণত হয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ এ খাত হবে ৩০ বিলিয়ন ডলার।</p> <p>প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৫ সাল নাগাদ এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দেশ ইন্দোনেশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি হবে ১০০ বিলিয়ন ডলার। এ অঞ্চলে অনলাইনভিত্তিক প্রতি ১০ ডলার ব্যয়ের চার ডলার হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ায়। এমনকি এ বছর এ অঞ্চলের ইন্টারনেট অর্থনৈতিক কম্পানিগুলোর তহবিল গঠনের জন্য একটি রেকর্ড বছর হবে। বছরের প্রথম ভাগে ইতিমধ্যে ৯.১ বিলিয়ন ডলার মূলধন যোগ হয়েছে এ খাতে, যা ২০১৭ সালের প্রায় সমান।</p> <p>গবেষণায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। ইন্টারনেট অর্থনীতিতে ৯০ শতাংশ গ্রাহকই সংযুক্ত তার স্মার্টফোনের মাধ্যমে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্মার্টফোন সহজলভ্য হওয়ার পাশাপাশি টেলিকম সেবা বাড়ায় বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। রয়টার্স।</p>