<p>উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত ভ্যালু চেইন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে প্রান্তিক পর্যায়ের উৎপাদকরা, অর্থাৎ কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক কর্মশালার মাধ্যমে ‘ন্যাশনাল ভ্যালু চেইন অ্যাসেসমেন্ট’ রিপোর্ট প্রকাশ করে। দেশের ১৮টি জেলার ৩৮টি স্থানে ৭৫০ জন অংশগ্রহণকারীর মতামতের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক, উৎপাদক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ পণ্য উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণের বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পৃক্তরা এই প্রতিবেদনে মতামত দিয়েছেন।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎপাদক থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত ভ্যালু চেইন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা হলে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে। এই চেইন বাস্তবায়ন করতে পারলে নারী-পুরুষ সবার জন্যই বাজারে সরাসরি পণ্য বিক্রয় সহজ হবে। এতে বৃদ্ধি পাবে মুনাফার পরিমাণ। এর জন্য গবেষণায় বিভিন্ন এলাকার চাষিদের পরিবেশের উপযোগী ফসল চাষে এবং সমন্বিতভাবে উৎপাদনে উৎসাহিত করা হয়েছে। </p> <p>একটি ভেলু চেইন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আধুনিক চাষাবাদের বিষয়ে সচেতন না থাকা, বিভিন্ন বাজার সম্পর্কে ধারণা না থাকায় পণ্যের সঠিক দরদাম জানতে না পারাকে উৎপাদকের মূল সমস্যা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। </p> <p>এদিকে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ শক্তিশালী ভ্যালু চেইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রায় এক লাখ মানুষের জীবনমান পরিবর্তনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বলে জানানো হয়। প্রতিবেদনটিতে কৃষি ও অ-কৃষিজাত ১১টি খাতে ১৩টি প্রধান সমস্যাও চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো দূর করার আশাবাদও উঠে এসেছে এই অনুষ্ঠানে।</p> <p>কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল হায়দার ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসিন তাঁদের পক্ষ থেকে ভ্যালু চেইন প্রতিষ্ঠায় যতটা সহযোগিতা করা সম্ভব, তা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।</p> <p>অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এসিআই অ্যাগ্রি বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ফ্রেড উইটিভেন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, এনজিও, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। </p>