<p>পার্বত্য এলাকায় চলমান পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংঘর্ষে চারজন নিহত, প্রায় ৭০ জন গুরুতর আহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।</p> <p>শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেনের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।</p> <p>বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশব্যাপী খুন-খারাবিতে মেতে উঠেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে জনগণ মুক্তি পেলেও দেশ এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়। দুষ্কৃতকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের পৈশাচিক কায়দায় হত্যাসহ গুরুতর আহত করা হচ্ছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা হতাহতের ঘটনা সেটিরই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সে জন্য দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর তাহলেই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।'</p> <p>বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটিতে জনগণের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান।</p> <p>এদিকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে। আগামীকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শন যাচ্ছে।</p>