<p>আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি দলটির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যে রয়েছে। এরই মাঝে জামায়াত এই সিদ্ধান্ত নিল।</p> <p>দলীয় সূত্র জানায়, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান জামিনে মুক্তির পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি আরো আগে থেকে নিচ্ছিলেন দলটির নেতারা।</p> <p>জানতে চাইলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা এই বিষয়ে এখনই কিছু বলছি না।’</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে যাঁরা আগ্রহী, তাঁদের প্রার্থী করা হবে। কাউকে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য দল থেকে চাপ দেওয়া হবে না। দলের নেতারা জানান, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর দলীয় প্রার্থীদের অনেকে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন।</p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, দলের কেউ যদি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চান তাঁদের প্রার্থী করার ব্যাপারে দলের স্থানীয় দায়িত্বশীলদের বলা হয়েছে। দলটির জেলা কমিটি নির্বাচনের সার্বিক বিষয় সমন্বয় করছে।</p> <p>দলীয় সূত্র বলছে, আগে যাঁরা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন কিংবা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের অনেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সামাজিকভাবে যাঁরা প্রতিষ্ঠিত এবং যাঁদের দল ও দলের বাইরে গ্রহণযোগ্যতা আছে, এমন নেতাদের প্রার্থী হতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেহেতু উচ্চ আদালত জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে, তাই দলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন।</p> <p>নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে দলের নেতাদের যুক্তি হলো, নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হবেন এবং সংগঠন করার সুযোগ পাবেন। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চান দলের নীতিনির্ধারকরা।</p>