<p>নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান রিজভী। </p> <p>একটা তো একতরফা নির্বাচন হয়ে গেছে, এর প্রতিবাদে কী আপনারা রাজপথে নামবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘নিশ্চয়ই, অবশ্যই। আমাদের নানা কর্মসূচি, আমাদের নেতারা প্রায় প্রতিদিন বসছেন। কর্মসূচি ঠিক করে আবার আপনাদের জানাবেন। এখনো আমরা কর্মসূচির মধ্যে আছি, আন্দোলনের মধ্যে আছি। আমাদের সঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলার বিষয় আছে। সবার সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচি ফরমুলেটেড করে আপনাদের জানানো হবে।’</p> <p>রিজভী বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে চাই, অবৈধ সত্তা নিয়ে তারা (সরকার) যে আনন্দ করছে, তাদের এই উৎসব একদিন জনগণের উৎসব হবে তাদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে, তাদের পতনের মধ্য দিয়ে।’</p> <p>সেই দিন কত দূরে? সরকার কি আরো পাঁচ বছর টিকে যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘চীনে একটি প্রবাদ আছে, স্রোত যত বইতে থাকবে পেছনের পানি যেটা তা তীব্র মাত্রায় আসবে এবং যত প্রবাহিত হতে থাকবে তত পানির স্বচ্ছতা হবে এবং সেটা নদী কাটতে কাটতে এমন একটা পর্যায়ে আসবে যে সেটা পরিপূর্ণ নদীতে পরিণত হবে।’</p> <p>রিজভী বলেন, ‘আমি বলতে চাই, আন্দোলনের পরিপূর্ণতা, স্রোত আমরা যত বইয়ে দেব, স্রোতের ধারা যত আসবে ততই আন্দোলন পরিপূর্ণ হবে এবং তারা পরাজিত হবে। আপনাদেরকে বলি, যুদ্ধ একাত্তর সালে শুরু হবে এটা কি ৬২ সালে জানা গেছে, এটা কি ৬৯ সালে জানা গেছে, এটা কি ৭০ সালে জানা গেছে? জানা তো যায়নি। তাই কখন কোন পরিস্থিতি হবে সেটা বলা যায় না।’</p> <p>রিজভী আরো বলেন, ‘শুধু একটাই বলা যায়, জনগণের আন্দোলন, সেই আন্দোলন যদি আদর্শের হয়, ন্যায়ের হয়, গণতন্ত্রের পক্ষের হয়, সেই আন্দোলন কখনো বৃথা যাবে না। ইতিহাসের রেকর্ড হচ্ছে এটা, ইতিহাসের সাক্ষী হচ্ছে এটা। জনগণ পরাজিত না। অপশক্তি কিছুদিন বাধা দিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু তার স্রোতকে আটকানো যাবে না। স্রোত কোনো না কোনো দিক থেকে সেটা প্রতিহত করে এটা এগোবে এবং প্রবাহিত করবে।’ </p> <p>সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চোয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন রিজভী।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আমিনুল ইসলাম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আরিফা সুলতানা রুমা, কৃষক দলের ভিপি ইব্রাহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসীন আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক নেতা অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার প্রমুখ।</p>