<p>দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত হওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হবে আজ। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণা করার কথা আছে।</p> <p>দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০০ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত ২২৪টি আসনে নৌকার মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আছে অনেক নতুন মুখ। বাদ পড়েছেন বর্তমান অনেক সংসদ সদস্য (এমপি)। </p> <p>ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের দৌড়ে বাদ পড়ছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান কিছু সংসদ সদস্য। অন্যদিকে এগিয়ে আছেন বয়সে তরুণ, জনগণের কাছে যাদের বেশি গ্রহণযোগ্যতা আছে তারা। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য বা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।</p> <p>প্রার্থী চূড়ান্ত প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নতুন-পুরনো মিলিয়েই আমরা মনোনয়ন দিচ্ছি। যেখানে পুরনোরা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, সেখানে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।’</p> <p>ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইলেকট্যাবল ক্যান্ডিডেট যারা সেটাই হচ্ছে বিচারের মানদণ্ড। এ ছাড়া কতজনকে বাদ দেব, কতজন রাখব এ ধরনের সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আমাদের মাথায় রয়েছে কাকে দিলে আমাদের দল নির্বাচনে জনগণের কাছে অধিকতর যোগ্য হবে।’</p> <p>সকালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত তিন দিনে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড। অর্থাৎ ৩০০ আসনের মধ্যে ২২৪টি আসন চূড়ান্ত হয়েছে। সিলেট বিভাগের ১৯ ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৭টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা বাকি রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। আজ রবিবার দুপুরের মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার কথা।</p> <p>দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে সারা দেশে ৩০০ আসনের বিপরীতে মোট তিন হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন সংগ্রহ করেন মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। এরপর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোটের আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালানো যাবে। ৭ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।</p>