<p>পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ ঘটনার যেভাবে তদন্ত হওয়ার দরকার ছিল, যেভাবে সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের বের করে নিয়ে আসার যে তদন্তপ্রক্রিয়া হওয়া উচিত ছিল সেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়নি। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখেছি, সেনাবাহিনী একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিল, সেটার পূর্ণাঙ্গ চেহারা দেশবাসী জানতে পারেনি।</p> <p>আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানী সেনা কবরস্থানে নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p>মির্জা ফখরুল বলেন, আমি কিছুদিন আগে কারাগারে ছিলাম। সেখানে দেখেছি অনেক প্রাক্তন বিডিআরের সদস্য, যাদের এ মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে, তারা ১৩-১৪ বছর ধরে সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের পরিবার নষ্ট হয়ে গেছে, তাদের সমস্ত ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেছে।</p> <p>নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এই দিনে সেই সমস্ত চৌকস কর্মকর্তা, যারা আমাদের সম্পদ ছিলেন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার ক্ষেত্রে, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার কাছে এ দোয়া করছি- তিনি যেন তাদের বেহেশত নসিব করেন। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার-পরিজন ছাড়া অন্য যারা হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের প্রতিও আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে, আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।</p> <p>মির্জা ফখরুল বলেন, এই দিনটি দুঃখজনক ও কলঙ্কের দিন। এই দিনে আমাদের তখনকার বিডিআর, যাকে আমরা সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বলে জানি, সে বাহিনীর ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে অত্যন্ত নৃশংসভাবে তাদের পরিবার-পরিজনসহ হত্যা করা হয় এবং একটা ভয়াবহ নৃশংস ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়।</p> <p>এ সময় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল ফখরুল আজম, অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মুস্তাফিজুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জহুরুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফয়সাল, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জয়নাল আবেদীন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর নিয়াজ আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর কোহিনুর আলম নূর, অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হারুনুর রশীদ ভুঁইয়া ও জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।</p>