<p>নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ নাসির ও পল্টন থানা যুবদল নেতা খলিলের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটির পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।</p> <p>প্রথমে ছাত্রদল নেতা নাসিরের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় পল্টন থানা যুবদলের খলিলের। এরই মধ্যে হঠাৎ করে টেবিলে রাখা বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির মাইক্রোফোন নাসিরের দিকে সে ছুড়ে মারে। নাসির এর প্রতিবাদ করলে ছুটে গিয়ে তাকে ঘুষি মারে খলিল। এ সময় পাশে দাঁড়ানো স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল ইসলাম পটুসহ বেশ কয়েকজন তাকে থামতে বললেও থামেননি খলিল। তবে মার খেলেও গোটা সময় চুপ ছিলেন ছাত্রদলের এই কেন্দ্রীয় নেতা। পরে রুহুল কবির রিজভীর আগমনের মধ্য দিয়ে হাতাহাতির পর্ব শেষ হয়। এ সময় সাংবাদিকরা মাইক্রোফোন দিয়ে মারামারির প্রতিবাদ করলে রিজভী সাংবাদিকদের কাছে সরি বলে নিজের কক্ষে চলে যান।</p> <p>আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের সময় সামনের দিকের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে মহানগর বিএনপি নেতা ফিরোজের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার খলিলকে নিবৃত্ত করতে পল্টনের যুবদলের যে কর্মী চেষ্টা চালিয়েছিলেন, তিনিই ফিরোজের ওপর হামলা করেন। ফিরোজের ওপর হামলাকারীর নাম নজরুল ইসলাম। যার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। তিনি পল্টন থানা যুবদলের সদস্য। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাইফুল ইসলাম পটু ফিরোজের ওপর হামলার সময়ও ছিলেন। পরে রুহুল কবির রিজভী এসে তাদের থামিয়ে দেন। প্রথমে থামলেও পরক্ষণে আবারো তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় একজন মেঝেতে পড়ে যান।</p>