<p>পবিত্র রমজান মাস আসন্ন। সিয়াম সাধনার এই মাসে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের বহু নিয়ামত দান করেন, তাদের বহু গুনাহ ক্ষমা করেন। এবং ইবাদতের প্রতিদান বাড়িয়ে দেন। প্রত্যেক মুমিনের উচিত, পবিত্র রমজান মাসের ফজিলতগুলো অর্জনে চেষ্টা করা।</p> <p>রমজানের একটি আর্থিক ইবাদত রয়েছে, যা দিয়ে মুমিন অফুরন্ত সওয়াব অর্জন করতে পারে। আর তা হলো—রমজানের ওমরাহ। কোনো সামর্থ্যবান মুসলিম যদি এই সুযোগ লুফে নিতে পারেন, তবে তাঁর জন্য কল্যাণকর হবে। কেননা নবীজি (সা.)-এর হাদিসে এসেছে, রমজানে ওমরাহ পালন করলে হজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।</p> <p>ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) এক আনসারি নারীকে বলেন, আমাদের সঙ্গে হজ করতে তোমার বাধা কিসের? ইবনে আব্বাস (রা.) মহিলার নাম বলেছিলেন, কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি। ওই নারী বলেন, আমাদের একটি পানি বহনকারী উট ছিল, কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তাঁর পুত্র (অর্থাৎ নারীর স্বামী ও ছেলে) আরোহণ করে চলে গেছেন। আর আমাদের জন্য রেখে গেছেন পানি বহনকারী আরেকটি উট, যার দ্বারা আমরা পানি বহন করে থাকি। নবী (সা.) বলেন, আচ্ছা, রমজান এলে তখন ওমরাহ করো। কেননা রমজানের একটি ওমরাহ একটি হজের সমতুল্য। অথবা এমন কোনো কথা তিনি বলেছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ১৭৮২)</p> <p>সুবহানাল্লাহ, কোনো বর্ণনায় তো এমনও পাওয়া যায় যে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, আমার সঙ্গে হজ করার সমতুল্য। কবুল হজ এমন একটি ইবাদত, যার প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা হজ ও ওমরাহ পরপর একত্রে আদায় করো। কেননা, এই হজ ও ওমরাহ দারিদ্র্য ও গুনাহ দূর করে দেয়, লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা যেমনভাবে হাপরের আগুনে দূর হয়। একটি কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৮১০)</p> <p>তবে এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে রমজানে ওমরাহ করলে হজের সওয়াব মানে এই নয় যে কেউ রমজানে ওরমাহ করে নিলে তাকে আর ফরজ হজ করতে হবে না; বরং যাদের ওপর হজ ফরজ হয়েছে, তাদের অবশ্যই ফরজ হজ আদায় করতে হবে। রমজানের ওমরাহর দ্বারা ফরজ হজ আদায় হবে না।</p> <p>মহান আল্লাহ সবাইকে এই আমলটি করার সামর্থ্য দান করুন। আমিন।</p>