<p><span style="font-size:18px;">‏দোয়ার আল্লাহর কাছে মানুষ প্রার্থনা করে। কোরআন ও হাদিসে বিনীতভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) আমাদের অসংখ্য দোয়া শিখিয়েছেন। এরমধ্যে নামাজে পঠিত একটি দোয়া হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তা হলো- </span></p> <p style="text-align: center;"><span style="font-size:22px;">‏اللَّهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ أَحْيِنِي مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْرًا لِي وَأَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ وَكَلِمَةَ الْإِخْلَاصِ فِي الرِّضَا وَالْغَضَبِ وَأَسْأَلُكَ نَعِيمًا لَا يَنْفَدُ وَقُرَّةَ عَيْنٍ لَا تَنْقَطِعُ وَأَسْأَلُكَ الرِّضَاءَ بِالْقَضَاءِ وَبَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَلَذَّةَ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِكَ وَالشَّوْقَ إِلَى لِقَائِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ وَفِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ اللَّهُمَّ ‏ ‏زَيِّنَّا بِزِينَةِ الْإِيمَانِ وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُهْتَدِينَ ‏</span></p> <p><strong>উচ্চারণ : </strong>আল্লাহুম্মা বিইলমিকাল গইব, ওয়া কুদরাতিকা আলাল খলকি, আহয়িনি মা আলিমতাল হায়াত খাইরান লি, ওয়া তাওয়াফফানি ইজা আলিমতাল ওফাতা খাইরান লি। আল্লাহুম্মা ওয়া আসআলুকা খশইয়াতাকা ফিল গইবি ওয়াশ শাহাদাতি, ওয়া আসআলিকা কালিমাতাল হাক্কি ফির রিদা ওয়াল গজবি, ওয়া আসআলুকাল কসদা ফিল ফাকরি ওয়াল গিনা। ওয়া আসআলুকা নাঈমান লা ইয়ানফাদু, ওয়া আসআলুকা কুররাতা আইনিন লা তানকতিউ, ওয়া আসআলুকার রিদা বা’দাল কাজা-ই, ওয়া আসআলুকা বারদাল আইশি বা’দাল মাউতি, ওয়া আসআলুকা লাজ্জাতান নাজরি ইলা ওয়াজহিকা, ওয়াশ শাউকা ইলা লিকা-ইকা ফি গাইরি দররাআ মুদিররাতিন। ওয়া লা ফিতনাতিম মুদিল্লাতিন। আল্লাহুম্মা যাইয়িনা বিযি-নাতিল ঈমান,ওয়াজআলনা হুদাতাম মুহতাদিন।</p> <p><strong>অর্থ : </strong>হে আল্লাহ! তোমার কাছেই আছে গায়েবের জ্ঞান, তুমি সমগ্র সৃষ্টির ওপর ক্ষমতাবান, তুমি যদি মনে করো আমার বেঁচে থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, তবে আমাকে বাঁচিয়ে রাখো। আর তুমি যদি মনে করো মৃত্যু আমার কল্যাণকর, তাহলে আমার মৃত্যু ঘটাও। আমি প্রকাশ্যে ও গোপনে তোমাকে ভয় করার তাওফিক চাই, আমি খুশি ও রাগের সময়ে সত্য কথা বলার তাওফিক চাই, আমি মধ্যপন্থা তথা অভাবী ও ধনীর মাঝামাঝি জীবন যাপন করতে চাই। </p> <p>আমি তোমার কাছে এমন নিয়ামত (অনুগ্রহ) চাই, যা শেষ হয়ে যাবে না। আমি তোমার কাছে চাই এমন চক্ষু শীতলকারী (বস্তু), যা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে না। মৃত্যুর পর আমি তোমার সন্তুষ্টি চাই। আমি তোমার কাছে মৃত্যুর পরে আরাম-আয়েশের শীতলতা চাই। আমি তোমার চেহারার দিকে দৃষ্টির প্রশান্তিস্বরূপ চেয়ে থাকতে চাই। তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের বাসনা কোনো ভ্রান্তিকর ফিতনাহ যেন বিনষ্ট করতে না পারে আমি সেই প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের ঈমানের সাজে সজ্জিত করো আর আমাদের হিদায়াতপ্রাপ্তদের পথের পথিক করো।</p> <p><strong>উপকার : </strong>আতা ইবনে সায়িব সূত্রে তাঁর পিতা সায়িব (রা.) বলেন, আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) একবার আমাদের সঙ্গে নামাজ পড়লেন। তিনি নামাজ সংক্ষিপ্ত করে পড়েন। তখন কেউ কেউ তাঁকে বলেন, আপনি নামাজ সংক্ষিপ্ত করেছেন। তিনি বলেন, এরপরও তো আমি নামাজে ওই সব দোয়া পড়েছি, যা আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে শুনেছি। এরপর যখন তিনি উঠলেন তখন একজন তাঁর পেছন পেছন গেল। [আত্বা (রা.) বলেন] তিনি ছিলেন উবাই, তিনি তাঁর নাম বলেননি। অতঃপর তিনি তাঁকে ওই দোয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন এবং এসে সবাইকে ওই দোয়ার খবর দিলেন। (নাসায়ি, হাদিস : ১৩০৫)</p> <p><br />  </p>