<p>মানুষ সাধারণত কোনো কাজে প্রথমবারই সফল হয় না। কোনো একটি কাজে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পেতে অবশ্যই নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম, চেষ্টা, সাধনা করতে হয়। পরে একসময় সফলতার সোনার হরিণ মানুষের হাতে ধরা দেয়। পৃথিবীতে যত মানুষ স্মরণীয়-বরণীয় হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ কর্মে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। সফলতা অর্জনের জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা-সাধনা চালিয়ে গেছেন। একসময় মহান আল্লাহ তাঁদেরকে তাঁদের চেষ্টার সফল উপহার দিয়েছেন। মানুষ কোনো বিষয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে সাধনা করলে মহান আল্লাহ তাদের তা দিয়ে দেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর এই যে, মানুষ তাই পায়, যা সে চেষ্টা করে।’ (সুরা : আন নাজম, আয়াত : ৩৯)</p> <p>এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরবিদরা বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তি যা পরিণতি ভোগ করবে, তা তার কৃতকর্মেরই ফল। চেষ্টা-সাধনা ছাড়া কেউ-ই কিছু লাভ করতে পারে না। (কুরতুবি)</p> <p>মহান আল্লাহকে পেতে হলেও তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতিতে চেষ্টা-সাধনা করতে হবে। যারা আল্লাহকে পাওয়ার জন্য চেষ্টা-সাধনা করবে, মহান আল্লাহই তাদের সঠিক পথ বাতলে দেবেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আমার উদ্দেশে চেষ্টা-সংগ্রাম করবে, তাদের আমি আমার পথ দেখাব। আর আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মশীল লোকদের সঙ্গে রয়েছেন।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৬৯)</p> <p>যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একনিষ্ঠভাবে তাদের সর্বোচ্চ পরিশ্রম দেয়, তাদের মহান আল্লাহ তাদের অবস্থার ওপর ছেড়ে দেন না। বরং তিনি তাদের সুপথ দেখান এবং তাঁর দিকে যাওয়ার পথ তাদের জন্য খুলে দেন। তারা তাঁর সন্তুষ্টি কিভাবে লাভ করতে পারে তা তিনি প্রতি পদে পদে তাদের জানিয়ে দেন। এই আয়াতের তাফসিরে ফুদাইল ইবনে আয়াদ বলেন, যারা বিদ্যার্জনে ব্রতী হয়, আমি তাদের জন্য আমলও সহজ করে দিই। (বাগভী)</p> <p>তাই মুমিনের উচিত, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন মুক্তি অর্জনে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাওয়া। আল্লাহর ফরজ বিধানগুলো আদায় করার পর যথাসম্ভব নফল বিধানগুলোও আদায়ের চেষ্টা করা। ইনশাআল্লাহ, মহান আল্লাহ বান্দার এই চেষ্টার যথোপযুক্ত প্রতিদান দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা মুমিন হয়ে আখিরাত কামনা করে এবং তার জন্য যথাযথ চেষ্টা করে। তাদের প্রচেষ্টা পুরস্কারযোগ্য। (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১৯)</p>