<p>পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা করা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। মহান আল্লাহ পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না। তাই পবিত্র কোরআনে তিনি তাঁর বান্দাদের এই কাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চেয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীকে ভালোবাসেন না।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৭৭)</p> <p>সাধারণত পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা হয় সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে; ইসলামের দৃষ্টিতে যা জঘন্য হারাম। আর যদি তা মানুষ হত্যার পর্যায়ে চলে যায়, তাহলে তো আরো ভয়ংকর বিষয়। পবিত্র কোরআনে নিরিহ ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যা গোটা মানবতাকে হত্যার শামিল বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘এ কারণেই আমি বনি ইসরাঈলের ওপর এই আদেশ দিলাম, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা জমিনে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা ছাড়া যে কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল। আর অবশ্যই তাদের নিকট আমার রাসুলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে। তা সত্ত্বেও এরপর জমিনে তাদের অনেকে অবশ্যই সীমা লঙ্ঘনকারী। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৩২)</p> <p>হাদিসের ভাষায় কোনো নিরপরাধ মুসলিমকে হত্যা করাকে কুফরির পর্যায়ের পাপ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, কোনো মুসলিমকে গাল দেওয়া ফাসেকি কাজ (জঘন্য পাপ) আর কোনো মুসলিমকে হত্যা করা কুফরি। (বুখারি, হাদিস : ৭০৭৬)</p> <p>ইসলামে সীমালঙ্ঘনকারী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীর কোনো স্থান নেই, যারা তুচ্ছ দুনিয়ার মোহে পড়ে, অন্যের ক্ষতি করে বেড়ায়, মানুষ হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করে না। মহান আল্লাহ সালেহ (আ.)-এর মাধ্যমে তাঁর উম্মতদের সীমা লঙ্ঘনকারী ও ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীদের বর্জন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং সীমা লঙ্ঘনকারীদের নির্দেশের আনুগত্য করো না, যারা পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না।’ (সুরা : শুআরা, আয়াত : ১৫১-১৫২)</p> <p>অতএব, প্রতিটি মুমিনের উচিত, বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে চলা। ফিতনা থেকে নিজেদের দূরে রাখা। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন।</p>