<p>ঈসা (আ.) ছিলেন বনি ইসরাঈলের সর্বশেষ নবী ও কিতাবধারী রাসুল। তাঁর ওপর অবতীর্ণ কিতাবের নাম ইনজিল। তাঁর পর থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব পর্যন্ত আর কোনো নবী আগমন করেননি। এই সময়টাকে ‘রাসুল আগমনের বিরতিকাল’ বলা হয়। ঈসা (আ.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের মোট ১৫টি সুরায় ৯৮টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। কিছু আয়াতে ঈসা (আ.)-এর কিছু বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে। </p> <p>নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো : </p> <p>(১) তিনি ছিলেন পিতাবিহীন একমাত্র নবী। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৪৬)</p> <p>(২) আল্লাহ স্বয়ং তাঁর নাম রেখেছেন ঈসা মাসিহ। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৪৫)</p> <p>(৩) তিনি শয়তানের অনিষ্টতা থেকে মুক্ত ছিলেন। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩৬-৩৭)</p> <p>(৪) দুনিয়া ও আখিরাতে তিনি ছিলেন মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর একান্ত প্রিয়জনদের অন্যতম। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৪৫)</p> <p>(৫) তিনি মাতৃক্রোড়ে থেকেই সারগর্ভ বক্তব্য দেন। (সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ২৭-৩৩, সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৪৬)</p> <p>(৬) তিনি বনি ইসরাঈলের প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৪৯) এবং শেষ নবী ‘আহমাদ’ (সা.)-এর আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। (সুরা : ছফ, আয়াত : ৬)</p> <p>(৭) ঈসা (আ.)-কে বিশেষ অলৌকিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম হলো-</p> <p>(ক) তিনি মাটির তৈরি পাখিতে ফুঁক দিলেই তা জীবন্ত হয়ে উড়ে যেত।</p> <p>(খ) তিনি জন্মান্ধকে চক্ষুষ্মান ও কুষ্ঠরোগীকে সুস্থ করতে পারতেন।</p> <p>(গ) তিনি মৃতকে জীবিত করতে পারতেন।</p> <p>(ঘ) তিনি বলে দিতে পারতেন, মানুষ বাড়ি থেকে যা খেয়ে আসে এবং যা সে ঘরে সঞ্চিত রেখে আসে। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৪৯, সুরা : মায়িদা, আয়াত : ১১০)</p> <p>(৮) তিনি আল্লাহর কিতাব ইনজিল লাভ করেছিলেন এবং আগের গ্রন্থ তাওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। তবে তাওরাতে হারামকৃত অনেক বিষয়কে তিনি আল্লাহর হুকুমে হালাল করেন। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৫০)</p> <p>(৯) তিনি ইহুদি চক্রান্তের শিকার হয়ে সরকারি নির্যাতনের সম্মুখীন হন। ফলে আল্লাহ তাঁকে সশরীরে আসমানে উঠিয়ে নেন। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৫২, ৫৪, ৫৫, সুরা : নিসা, আয়াত : ১৫৮)</p> <p>(১০) তিনিই একমাত্র নবী, যাঁকে মহান আল্লাহ জীবিত অবস্থায় দুনিয়া থেকে আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন। শত্রুরা তাঁরই মতো আরেকজনকে সন্দেহের বশে শূলে চড়িয়ে হত্যা করে এবং তারা নিশ্চিতভাবেই ঈসাকে হত্যা করতে পারেনি। (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৫৭)</p>