<p>ত্রয়োদশ শতাব্দীর বিখ্যাত কবি ও দার্শনিক মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (রহ.)-এর ৭৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর স্মরণে প্রতিবছর ১৭ ডিসেম্বর তুরস্কের কোনিয়া প্রদেশে তাঁর স্মরণে নানা আয়োজন করা হয়। এবারও ৭ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা কালচারাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের শেষ দিন সুফি সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আহমদ উজহানসহ তুরস্কের বিখ্যাত প্রসিদ্ধ শিল্পীরা। এতে অংশ নেন তুরস্কের সংসদের স্পিকার নোমান কুরতুলমুস, সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী মেহমেত নুরি আরসু, কোনিয়ার গভর্নর ওয়াহিদ উদ্দীন উজকানসহ আরো অনেকে।</p> <p>আল্লামা জালালুদ্দিন মুহাম্মদ রুমি আনুমানিক ১২০৭ সালে বর্তমান আফগানিস্তানের বলখ শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৭ ডিসেম্বর ১২৭৩ সালে বর্তমান তুরস্কের কোনিয়ায় মারা যান। বংশপরিক্রমায় তিনি ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর (রা.)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি ছিলেন একজন কবি, আইনবিদ, সুফি তাত্ত্বিক ও আইনজ্ঞ। তিনি সেলজুক রোমান শাসনামলে আনাতোলিয়ার বলখ শহরে বসবাস করেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আধ্যাত্মিক গুরু ছিলেন পারস্যের কবি শামস আল-তাবরিজি। </p> <p>মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোনিয়ায় অনুষ্ঠিত ১০ দিনব্যাপী আয়োজনটি শব-ই-আরুস নামে পরিচিত, যার অর্থ বিয়ের রাত। কারণ আল্লামা রুমি তাঁর মৃত্যুর দিনকে ‘স্রষ্টার সঙ্গে পুনর্মিলন’ হিসেবে মনে করেন। তা ছাড়া মৃত্যুর সংবাদ শুনে মুসলিমরা পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত পাঠ করেন, যার অর্থ ‘আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি এবং তাঁর কাছেই ফিরে যাব।’ </p> <p><em>সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড</em></p> <p><iframe frameborder="0" height="600" scrolling="no" src="https://twitframe.com/show?url=https://twitter.com/trtworld/status/1737174708012134509" width="1000"></iframe><br />  </p>