<p>১. আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিঃসন্তান মাতা-পিতাকে এই দোয়া শিখিয়েছেন—</p> <p>‘রব্বি লা-তাযারনী ফারদাঁও ওয়া আন্তা খাইরুল্ ওয়ারিছীন্।’</p> <p>অর্থাৎ ‘হে আমার রব, আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম উত্তরাধিকারী।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৮৯)</p> <p>২. জাকারিয়া (আ.) বার্ধক্য পর্যন্ত নিঃসন্তান ছিলেন। অন্যদিকে মারিয়াম (আ.) বায়তুল মোকাদ্দাসে তাঁর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। একদিন তিনি দেখতে পেলেন আল্লাহ তাআলা ফলের মৌসুম ছাড়াই মারিয়াম (আ.)-কে ফল দিয়ে রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন। তখন তাঁর মনে সন্তানের জন্য সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে। তাই তিনি আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করেন। তিনি বলেন—</p> <p>‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা জুরিরয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাতান, ইন্নাকা সামিউ’দ দুআ।’</p> <p>অর্থাৎ ‘হে আমাদের রব! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পূত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা কবুলকারী।’ (সুরা : আলে ইমরান,  আয়াত : ৩৮)</p> <p>৩. ইবরাহিম (আ.) একসময় নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি আল্লাহর কাছে এ মর্মে দোয়া করেছেন—</p> <p>‘রাব্বি হাবলি মিনাস সালেহিন।’</p> <p>অর্থাৎ ‘হে আমার প্রভু! আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করো।’ (সুরা : সাফফাত, আয়াত : ১০০)</p> <p>৪. আল্লাহর খাঁটি বান্দাদের পরিচয় দিয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, তাঁরা নেক স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দোয়া করেন। ইরশাদ হয়েছে—</p> <p>‘রব্বানা-হাবলানা-মিন্ আয্ওয়াজ্বিনা ওয়া</p> <p>যুররিয়্যা-তিনা-কুর্রতা আ’ইয়ুন ওয়া</p> <p>জা’আল্না-লিল মুত্তাকীনা ইমামা।’</p> <p>অর্থাৎ ‘হে আমাদের রব! আমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের আমাদের জন্য চোখ শীতলকারী করো এবং আমাদের পরহেজগারদের জন্য আদর্শ হিসেবে বানাও।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৭৪)</p>