<p>আগের জাতিগুলোর ওপর যেসব পাপের কারণে আজাব এসেছিল, সেসব পাপ বর্তমানেও বিদ্যমান। তার পরও এই উম্মতের ওপর আগের জাতির মতো আজাব আসে না। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জাতির ওপর আগের জাতিগুলোর মতো আজাব না আসার কয়েকটি কারণ রয়েছে। এক. মহানবী (সা.)-এর দোয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা এই ওয়াদা করেছেন যে এই উম্মতকে তিনি সমূলে ধ্বংস করে দেবেন না। এ বিষয়ে প্রায় সব হাদিসের কিতাবে বর্ণনা রয়েছে। (দেখুন মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৫১৪৯, তিরমিজি, হাদিস : ২১৭৫)</p> <p>দুই. উম্মতে মুহাম্মদির ওপর সর্বনাশা আজাব আসার ক্ষেত্রে দুটি জিনিস প্রতিবন্ধক। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উপস্থিতি এবং উম্মতের তাওবা ও ইস্তিগফার। বর্তমানে রাসুলুল্লাহ (সা.) উপস্থিত নেই। কিন্তু পাপাচার যেমন বাড়ছে, তেমনি তাওবা ও ইস্তিগফার করার লোকও বাড়ছে। তাদের অসিলায় সর্বগ্রাসী আজাব আসে না।</p> <p>এ বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ এমন নন যে তুমি [মহানবী (সা.)] তাদের মধ্যে থাকবে, অথচ তিনি তাদের আজাব দেবেন। আর আল্লাহ এমনও নন যে তারা ইস্তিগফার করবে, অথচ তিনি তাদের আজাব দেবেন।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৩৩)</p> <p>তিন. যদিও আগের জাতির মতো হুবহু আজাব উম্মতে মুহাম্মদির ওপর আসে না, কিন্তু বিভিন্নভাবে এই জাতিকেও সতর্ক করা হয় এবং লঘু শাস্তি দেওয়া হয়। যেমন—রোগব্যাধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রক্তপাত, অপঘাতে মৃত্যুসহ বিভিন্নভাবে আজাব আসে। কিন্তু স্থূল দৃষ্টিতে সেগুলো অনেকের চোখে আজাব হিসেবে ধরা পড়ে না। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে, তা তো তোমাদের কৃতকর্মের ফল। এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করেন।’ (সুরা : শুরা, আয়াত : ৩০)</p>