<p>চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবর্ষণ, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামসহ ১০৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) লাকসাম পৌরসভা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মনির আহমেদ বাদী হয়ে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ৬ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন। </p> <p>মামলার প্রধান আসামি মো. তাজুল ইসলাম কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য। এই মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে। </p> <p>মামলার এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন তাজুল ইসলামের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী, লাকসাম পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ উল্লাহ, মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, লাকসাম পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল খায়ের, লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, লাকসাম পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খলিলুর রহমান, তাজুল ইসলামের ভাতিজা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামসহ ১৫। </p> <p>সঠিকভাবে তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য উঠে আসার প্রত্যাশা করে অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু বলেন, আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য লাকসাম থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।</p> <p>মামলার বাদী বিএনপি নেতা মনির আহমেদ বলেন, ‘২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার এলাকায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু ও তার স্ত্রীসহ নেতাকর্মীদের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা আদালতে আমি বাদী হয়ে একটি মামলা করি। এর পর থেকেই তাজুল ইসলামের নির্দেশে তার সন্ত্রাসীরা আমার ওপর নির্যাতন, মামলা, হামলা শুরু করে।’ </p> <p>মামলাটির সঠিক তদন্তের দাবি করে তিনি আরো বলেন, ‘১৪ জুলাই মামলার হাজিরার দিন কুমিল্লার আদালতে এলে আসামিরা আমার ওপর ফের হামলা চালায়। পরে বিষয়টি আমি আদালতকে জানিয়েছি। এরপর কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ৩ আগস্ট সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ির সামনে লাকসাম পৌরসভার নশরতপুর এলাকায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দেয়৷ সর্বশেষ ১৮ আগস্ট মামলা ৩ নম্বর আসামির নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। আমার বাড়ি ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও মালপত্র লুট করে। ওই সময় মোবাইল ফোনে মামলার প্রধান আসামি তাজুল ইসলাম আমাকে মেরে ফেলার জন্য তার সন্ত্রাসীদের নির্দেশ দেন। তাজুল ইসলামের নির্দেশে আমার ওপরে বারবার নির্যাতন চালানো হয়েছে।’<br />  <br /> এসব বিষয়ে জানতে মামলায় অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।</p>