<p>টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে মারুফ মিয়া (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৫৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। রবিবার (১৮ আগস্ট) রাতে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন নিহত মারুফের মা মোর্শেদা। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০-২০০ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন।</p> <p>মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা করেন অভিযুক্তরা। ওই সময় মারুফের মাথার ডান পাশের কানের নিচে গুলি লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।  </p> <p>মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকে। দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সিরাজুল হক আলমগীরকে। </p> <p>অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তানভীর হাসান ছোটমনির, তার বড় ভাই ও জেলা বাস, কোচ মিনি-বাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড়মনি, সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন, সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয়, সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ, সাবেক এমপি হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন ও সাইফুজ্জামান সোহেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা প্রমুখ।</p> <p>টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, নিহত মারুফের মা মোর্শেদা বাদী হয়ে ৫৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।</p>