<p>অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আর কিছু বলার নেই।’ তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমার নিজের ওয়েবসাইট হ্যাক করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। এই অপপ্রচার রোধের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে যে আইনটি পাস করা হলো তার কয়েকটি ধারা নিয়ে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ছিল। বিশেষ করে ৩২ ধারায় গণমাধ্যমের স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।  সংবাদকর্মীদের পক্ষ থেকে ওই ধারা বাদ দেওয়ার দাবি তোলা হয়। ব্যাপক সমালোচনা হয়।’</p> <p>আইনমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী একাধিকবার সাংবাদিকদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ৩২ ধারা বাদ দেওয়ার কথাও বলেন। আইনমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘গণমাধ্যমবিরোধী কোনো কিছু থাকলে তা বাদ দেওয়া হবে।’ তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের মত প্রকাশে কোনো বাধা থাকবে না। যদি গণমাধ্যমবিরোধী কিছু থাকে তাহলে হাইকোর্টে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’ এই বক্তব্য দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের হাইকোর্ট দেখিয়ে দিয়েছেন। এখন যদি এই ধারা চ্যালেঞ্জ হয় তাহলে হাইকোর্টে কী পাওয়া যাবে না যাবে তা বলা কঠিন হয়ে গেছে। তবে এই আইন পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে যা বোঝা গেল তাহলো—আইনমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী মুখে বলেন এক কথা, কিন্তু অন্তরে অন্য কথা।</p> <p>মনজিল মোরসেদ আরো বলেন, এই আইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতার আশঙ্কা ব্যক্ত হয়েছে। এটা সংবিধানবিরোধী।</p>