<p>করোনার শুরুতে লকডাউনের যে ধাক্কা, সে এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। দুই মাসের লকডাউনে আমাদের ক্ষতি হয়ে গেছে দুই বছরের। তবু বিক্রয়কেন্দ্র খোলা রেখেছি। এখনো যা বিক্রি হচ্ছে, সব অনলাইনে। আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমেছে বিক্রি। তা-ও কোনো কোনো দিন মোটেই বিক্রি হয় না, কোনো দিন অর্ডার আসে। এই কয়েক মাসে একটা বই প্রকাশ করেছি। রবিন জামান খানের সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। আরেকটা বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। সত্যজিৎ রচনাবলির দ্বিতীয় সংস্করণ। ৯ খণ্ডের। বইমেলার সময়ও এগিয়ে আসছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না আসলে কী হবে। এমন পরিস্থিতিতে মেলা হলে লোকসমাগম কেমন হবে তা নিয়ে দোলাচলে আছি। বাংলা একাডেমি যদি স্টলভাড়াটা মওকুফ করত তাহলে সবাই উপকৃত হতো। কিন্তু এখনো সে রকম কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। প্রতিবার অর্ধশতাধিক বই প্রকাশ করি। মেলা হলে এবার সর্বোচ্চ ২০টি বই প্রকাশ করব।</p>