<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মৌলভীবাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে এবং উদ্যোক্তাদের শিল্প-কারখানা করার জন্য সঠিক পরিবেশ দিতে ২০১২ সালে বিসিক শিল্পনগরী, শ্রীমঙ্গল প্রকল্প হাতে নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হয় মূল অনুমোদিত ব্যয়ের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি অর্থ। তিন বছরের প্রকল্পটি শেষ করতে লেগে যায় সাত বছর। তবে ২০১৯ সালের শেষে শ্রীমঙ্গল বিসিক শিল্পনগরীর কাজ শেষ হলেও চার বছরেও সেখানে গড়ে ওঠেনি কোনো শিল্প-কারখানা। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্থানীয় জনগণের যে কর্মসংস্থান হবে বলে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল, পূরণ হয়নি সেই লক্ষ্য। এদিকে দীর্ঘদিন পড়ে থাকলে শিল্পনগরীর বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যবহারের উপযোগিতা হারাবে বলে মনে করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রকল্পটি নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, শিল্প উদ্যোক্তাদের চাহিদা পূরণকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ ও শিল্প প্লট প্রস্তুত করা। অধিগ্রহণকৃত জমিতে মাটি ভরাট, রাস্তা নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণ, বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন ইত্যাদি অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইউনিট স্থাপনে সহায়তা প্রদান। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান বৃদ্ধিকরণ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। যদিও শিল্পনগরী স্থাপনের পর চার বছর পেরোলেও এখনো সেটি আলোর মুখ দেখেনি।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেখানে শিল্প-কারখানা না করার বিষয়ে প্লটের দাম বেশি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তাঁরা বলছেন, বিসিকে জমির (প্লটের) দাম তিন গুণ। সরকার কোনো ভর্তুকি না দিলে এসব প্লটে শিল্প-কারখানা স্থাপন সম্ভব নয়। সারা দেশে যেখানে মানুষ প্লট নিতে প্রতিযোগিতায় নামে, সেখানে শ্রীমঙ্গলের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। প্লট আছে, কিন্তু ক্রেতা নেই।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শিল্পনগরী তৈরির পর চার বছর পেরোলেও কোনো শিল্প গড়ে না ওঠার বিষয়ে বিসিক মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক বিল্লাল হোসেন ভুইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমরা ১৩০টি প্লটের মধ্যে ৫২টি বরাদ্দ দিয়েছি। তারাও প্ল্যান জমা দিচ্ছে। প্ল্যান অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে। তবে এখনো কোনো শিল্প গড়ে ওঠেনি। প্লট বিক্রিতে বারবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেখানে স্থানীয় বড় ব্যবসায়ী না থাকায় চাহিদা কম আছে। বাইরের থেকে ব্যবসায়ীরা আসছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাম বেশি মনে করছেন। আমরা এরই মধ্যে দাম কমিয়েছি। নতুন কিছু আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলো শিগগিরই সভায় অনুমোদন হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বিসিকের প্লটের দাম ১০ কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুযোগ বলে মনে করেন তিনি।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২০২১ সালের এপ্রিলে শ্রীমঙ্গলের বিসিক শিল্পনগরী পরিদর্শন করেন আইএমইডির সহকারী পরিচালক মো. বশির আহম্মেদ। প্রকল্পটি নিয়ে করা আইএমইডির সমাপ্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দ্বারা ক্ষুদ্র ও কুটির এবং মাঝারি শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জাতীয়ভাবে অবদান রাখা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করার জন্য আলোচ্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রকল্পটির সার্বিক পর্যবেক্ষণে আইএমইডি বলছে, প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০১৯ সালের জুনে সমাপ্ত হয়েছে। প্রকল্পের অধীন সর্বমোট ১৩০টি শিল্প প্লট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি উক্ত প্লটেও কোনো শিল্প-কারখানা স্থাপন করা হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে বলা যায় যে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জাতীয়ভাবে অবদান রাখার মাধ্যমে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার বিষয়টি উপেক্ষিত হতে পারে। তা ছাড়া উক্ত শিল্প প্লটের বরাদ্দ এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে অত্যধিক বিলম্ব হলে শিল্পনগরীর বিভিন্ন অবকাঠামো (ড্রেন, পানির লাইন, বিদ্যুৎ লাইন, গভীর নলকূপ) ব্যবহারের উপযোগিতা হারাবে। এরই মধ্যে ব্যবহার/রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ড্রেন ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। তা ছাড়া পানি, বিদ্যুৎ, নলকূপ ইত্যাদির ফিটিংস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দুই বছর আগে করা আইএমইডির প্রতিবেদনে যদি এই চিত্র উঠে আসে। তাহলে এখন কী অবস্থা দাঁড়িয়েছে তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। কারণ সেখানে এখনো কোনো শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যদিও প্রকল্পটি নেওয়ার সময় বলা হয়েছিল, সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাটি অর্থনৈতিক দিক থেকে একটি সম্ভাবনাময় এলাকা। এখানে শিল্প খাতে প্রবাসীদের বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিসিক সূত্রে জানা যায়, শিল্পায়নের একটি ভিত্তি স্থাপনের লক্ষ্যে বিসিক প্রথম ১৯৬০ সালে শিল্পনগরী স্থাপনের কর্মসূচি গ্রহণ করে। বিসিক এ পর্যন্ত ৮২টি শিল্পনগরী বাস্তবায়ন করেছে। এসব শিল্পনগরীতে ১২ হাজার ৩১৩টি শিল্প প্লট রয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ১৯টি শিল্প প্লট ছয় হাজার ১৮টি শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে চার হাজার ৫৩৩টি শিল্প-প্রতিষ্ঠান পুরোদমে চালু রয়েছে। তবে এখনো এক হাজার ৯৮টি প্লট বরাদ্দ হয়নি।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি প্লট বরাদ্দ হয়নি, অর্থাৎ ৩৬২টি প্লট ফাঁকা রয়েছে মুন্সীগঞ্জের শিল্পনগরীতে। এরপরে ২৪৪টি শিল্প প্লট ফাঁকা রয়েছে রাজশাহী-২ শিল্পনগরীতে, ১০৯টি প্লট ফাঁকা রয়েছে গোপালগঞ্জে, ৮৯টি প্লট ফাঁকা রয়েছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে, ৫৮টি প্লট ফাঁকা রয়েছে চুয়াডাঙ্গা শিল্পনগরীতে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p>