কথাটা কোন বিজ্ঞানী বলেছেন আমার স্মরণ নেই। বিজ্ঞানী আইনস্টাইন কি? ‘আমি জ্ঞানসমুদ্রের উপকূলে
বাংলাদেশ নদীমাতৃক ভূখণ্ড। এর এই প্রাকৃত চরিত্রের সঙ্গে আমার নাড়ির সম্পর্ক, শিকড়সংলগ্ন
ঈদ সংখ্যাগুলো সাধারণত ঈদুল ফিতরে প্রকাশিত হয়। করোনার এই অতিমারির কালে এ বছর ঈদুল ফিতরে আমরা
‘শুধু আপনার ছেলে নই, সমাজেরও’ কথাটা একজন তরুণ ছাত্রের, রাজবন্দি হয়ে যাঁকে বিনা বিচারে
শামসুর রাহমান (২৩ অক্টোবর ১৯২৯—১৭ আগস্ট ২০০৬) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি, সাংবাদিক।
গত শতাব্দীর ষাট ও সত্তরের দশকের সাহিত্য আমাদের সমাজ ও জাতীয় জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ
ওয়াশরুমে ঢোকার আগে মোবাইল দুটো আমি বিছানার ওপর রেখেছিলাম। একটা ফোনে চিটাগাংয়ে কথা বলছিলাম,
ছাদ থেকে ছাদ দেখা যায়। উপজেলা মৎস্য অফিসারের বউ বিভা তাদের বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠেছিল ফুলের টবে
শনিবার রাত আটটা বেজে তিন মিনিটে মন্টু কাকু রাজুকে ঘরে তলব করে প্রশ্ন করে, আজ সারা দিন কোন ভালো
ক্লোজ রেঞ্জে লম্বা ব্যারেলের রিভলবার বের করতে ঝামেলা। কথাটা একেবারেই ভাবিনি তা না, তবে এরা
ধুলা উড়িয়ে, পাথরকুচি ছিটকিয়ে ছোটে এসইউভি। আগ্নেয়গিরির উড়ে আসা ছাইয়ের কারণে কাঁচা সড়কটির রং
আমাদের বাড়িতে র্যাক ভর্তি ছিল বই আর বই। আমার মা লেখক রাবেয়া খাতুন। বাবা ছিলেন চলচ্চিত্র
হলদে সারস চলে গেছে বহু আগে, আজ হেথা আছে শুধু হলুদ সারসের মিনার, হলদে সারস একবার উড়ে গেলে
আমি অন্য রকম মানুষ ছিলাম, অন্য রকম জল রাতের ঝরা শিশিরবিন্দু দুচোখে টলমল; অন্য রকম পাখির পাখা,
যে পথে হাঁটছি আমি, সে পথে দেখা হলে ভালোবাসা জানাব তোমাকে তোমাকে স্বপ্নে যদি পেয়ে যাই, ভালোবাসা
তোমাকে লিখতে গিয়ে লিখছি আমাকে আমাকে লিখতে গিয়ে লিখছি তোমাকে, তোমার আমার পক্ষে যা-ই লিখে যাই,
ঘাটে বেজেছিল আহির ভৈরবী পুরনো কেল্লার ভিতর অনুপম বাঁশি... ঘাটের পর ঘাট পেরোতে গিয়ে পেরিয়ে
শব্দের খোঁজে বসে থাকি একাকিত্বের কিনারে মানুষেরা সরে গেছে দূরে অথবা আমিই সরে এসেছি নিরাপদ
আমার মন খারাপ হয়ে আছে। গত সকালের সব কটি ক্ষুধার্ত মাছ যন্ত্রণার কাঁটা ফুটিয়ে যাচ্ছে ত্বকে ও
পাখিরা মানুষের কাছে আর আসছে না, সবুজ পাতা প্রতিদিন ছিঁড়ে আমি আধুনিক হয়ে যাচ্ছি। উড়ন্ত
এইবার হবে না তো পরা, রঙিন স্বপ্নের জালে জড়ানো সুতোয় কাজ করা নতুন পাঞ্জাবি। আকাশে ঠিকই দেখো
হাত নাড়াতে নাড়াতে তুমি পেছন ফিরে হাঁটছিলে আর মিলিয়ে গেলে বাতাসে। আমি বলি, চলে গেলে আরো
হঠাৎ মেঘের ডাকে ঘুম ভাঙে করোনাপীড়িত এই মাস্ক পরা পৃথিবীর ট্রপিক্যাল নাভিকুঞ্জে; আষাঢ় আকাশ
যে মেয়েটা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে আমার পিছু নিয়েছে, ওকে আমি গাছের কোটরে মুখ বাড়িয়ে থাকা তক্ষক
উপট্ লেঙ্ড়ার ঝোপের পাশে যারা আজ আমার লাশ ফেলে চলে গেল তারা ঢেকে রেখেছিল নিজেদের চেহারা।
কদমপাতায় ফেলে দেওয়া হলো আগুন রাত যখন সকাল ছুঁই ছুঁই দেখা গেল পুড়ছে না কিছুই শুধু হেঁটে আসছে
শেক্সপিয়র আমার কাছে হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, ওথেলো ত্রয়লাস ও ক্রেসিদা। শেক্সপিয়র মানে
‘আসতে পারি সম্পাদক সাহেব?’ নিজের কক্ষের টেবিলে ঝুঁকে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে প্রেসে ছেড়ে
মাসুদ সাহেব ঘুমান না, তবে সারা দিন শুয়ে থাকেন। হাসেন না, তবে মুখ বাঁকা করে রাখেন। পরিশ্রম করেন
—বাপরে, গরম পড়েছে গো; ভাদর মাসের গরম, বড় আঠালো গরম। —কিছু বললেন ভাই? —বলছিলাম গরমের কথা।
গালিবের গজলের মতো নরম রোদ্দুর, আর দীন-ই-ইলাহির মতো দরাজ আকাশ। সে আকাশের গায়ে, উর্দু আলফাজরে
উফ, কী বীভৎস স্বপ্ন! চোখ দুটি মেলে বোঝার চেষ্টা করলেন, তিনি এখন কোথায়? এয়ারকন্ডিশন চলছে