<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সবজি, ফলমূল, গ্রিন টি আমাদের রোজকার ব্যবহৃত পণ্য। সবজি, ফলমূল খেলে এমনিতেই ত্বকের </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উজ্জ্বলতা বাড়ে। খাওয়ার পাশাপাশি নানা উপায়ে এগুলো দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। অনেক সময় ঘরে থাকা ফল বা সবজির একটুখানি পচে গেলে বা নষ্ট হলে ফেলে দেওয়া হয়। ফেলে না দিয়ে ভালো থাকা অংশটুকু ত্বকের চর্চায় ব্যবহার করা যায়। গ্রিন টি ব্যবহার শেষে তার জায়গা হয় ডাস্টবিন। তা না করে ব্যবহৃত টি প্যাক দিয়েও তৈরি করতে পারেন ত্বকের জন্য উপকারী প্যাক। এ জন্য ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা চাই।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:red">সবজি</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আলু</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সবজির মধ্যে ত্বকের দাগছোপ দূর করতে আলু সবচেয়ে বেশি কার্যকর। তবে অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ বা দাগ থাকলে আলু ভালো করে ধুয়ে খোসাসহ রস করে নিতে হবে। এর সঙ্গে পাতি লেবুর রস ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে  পারেন। শুষ্ক ত্বকে আলুর রস সরাসরি ব্যবহার করলে ত্বক আরো রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই আলুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ দুধ ও বেসন মিশিয়ে ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকের দাগছোপ দূর হবে। ত্বকে র‌্যাশের সমস্যা থাকলে সরাসরি আলুর রস ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে র‌্যাশের সমস্যা আরো বাড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে আলুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ পুদিনা পাতার রস ও ময়দা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মিশ্রণটি ব্যবহার করলে র‌্যাশ ও দাগ  দুটিই দূর হবে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টমেটো</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টমেটোর রস ত্বকে ক্লিনজিংয়ের কাজ করে। শুধু ত্বকের দাগছোপই দূর করে না; বরং ত্বকের উজ্জ্বলতা ও জেল্লা বাড়ায় টমেটোর রস। অবশ্যই টমেটোর বিচি অংশটুকু ফেলে দিয়ে শুধু খোসা অংশটুকু দিয়ে রস তৈরি করে নিতে হবে। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে টমেটোর রসের সঙ্গে গুঁড়া অথবা কাঁচা দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।<br /> এ মিশ্রণটি ত্বকে টোনিংয়ের কাজ করে। তৈলাক্ত ত্বক হলে টমেটোর রসের সঙ্গে ডিসটিল্ড ওয়াটার বা গোলাপজল মিশিয়ে সেই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে। এটি তৈলাক্ত ত্বকে খুব ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শসা</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সব ধরনের ত্বকের জন্যই শসা উপকারী ও ফলদায়ক। শসার খোসা ছাড়িয়ে এর ওপরের অংশটুকু গ্রেট করে রস বের করে অথবা গ্রেট করা শসাই পুরো মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে মুখে যে লোমকূপগুলো খোলা থাকে সেগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়। ত্বকের </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উপরিভাগের এনজাইম ভালো থাকে। শসা যে মুখের উজ্জ্বলতা খুব বাড়িয়ে দেয় শুধু তা-ই নয়, বাইরের প্রতিকূল অবস্থা থেকেও ত্বককে রক্ষা করে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:red">ফলমূল </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কলা</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কলা খেয়ে খোসা হররোজ ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু জানেন কি এই কলার খোসা দিয়েই ধরে রাখতে পারেন ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা। কলার খোসা ত্বক চর্চায় দারুণ উপকারী। পরিষ্কার মুখে কলার খোসা ধীরে ধীরে চক্রাকারে ঘষে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। নিয়মিত কলার খোসা ত্বকে ব্যবহারের ফলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আঙুর</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লাল হোক বা সবুজ যেকোনো আঙুর দিয়ে করতে পারেন রূপচর্চা। তবে সব ধরনের ত্বক চর্চায় কিন্তু আঙুর ব্যবহার করা যাবে না। অতিরিক্ত গরমে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এ সময় ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়াতে আঙুরের রস ব্যবহার করতে পারেন। আঙুরের রসের কার্যকারিতা এতটাই, এটি ত্বকের চতুর্থ স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আঙুরের রসের সঙ্গে বেসন মিশিয়ে সেই পেস্ট মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে টান টান সতেজ ভাব চলে আসবে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কমলার রস</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এক কাপ কমলার রসের সঙ্গে সমপরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে আইস ট্রেতে রেখে আইস কিউব বানিয়ে নিন। এই গরমে বাইরে রোদ থেকে এসে পানি দিয়ে আগে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে এরপর কিছুক্ষণ এই আইস কিউব মুখে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বাইরে থেকে এসে এই কিউবটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব কেটে যাবে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:red">গ্রিন টি</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গ্রিন টি শুধু স্লিমিং বা অন্যান্য গুণাগুণের জন্যই শুধু উপকারী নয়, রূপচর্চায়ও এর ব্যবহার অতুলনীয়। মুখে অনেক র‌্যাশ হলে এক কাপ গরম পানিতে গ্রিন টি ভিজিয়ে রেখে দিন। পানি ঠাণ্ডা হয়ে এলে এই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বকে নানা উপকার পাবেন। ব্যবহৃত টি প্যাক থেকে চা পাতা বের করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে গলা ও ঘাড়ে ব্যবহার করতে পারেন। গলা ও ঘাড়ের অবাঞ্ছিত দাগ দূর হবে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>