<p> ভারতের সংসদীয় রাজ্যসভা ও লোকসভায় নিরঙ্কুষ সংখ্যাগরিষ্ট ভোট পেয়ে পাশ সংবিধান সংসদীয় বিলটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এরই মধ্যে। এবার নতুন করে আবার নজির তৈরি করেছে ওই একই বিল। সেটি ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে। এর আগে এই ধরনের ভুল নিয়ে কোন বিল পাশ হয়নি রাজ্যসভা এবং লোকসভায়। বিলটি পাশ করার ক্ষেত্রে ভারত সরকারের তরিঘরি করায় সামান্য হলেও কিছু ত্রুটি থেকেই গিয়েছিল। তবে আজ সোমবার সেই ত্রুটি সংশোধন করে নতুন করে রাজ্যসভায় ভারতের সংবিধান সংসদীয় বিলটি পাশ হয়।<br /> <br /> ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের প্রয়োজনেই সংবিধান সংশোধনী বিলটি আনতে হয়েছিল ভারত সরকারকে। সেটি কদিন আগে ভারতের সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হয়। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর সময় সামান্য কটি ত্রুটি চোখে পড়ে। সে কারণেই পুনরায় রাজ্যসভায় পাশের জন্য আজ সোমবার সভার দ্বিতীয়ার্ধে ওই বিলের সাতটি জায়গায় সংশোধনীর জন্য রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সংশোধনের পর রাজ্যসভায় এদিনও সর্বসম্মতিতে পাশ হয়ে যায় বুহুল চর্চিত বিলটি।  বিলের পক্ষে  ১৮১টি ভোট পড়ে।  এর আগে বার বার  বিলটিকে '১১৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল-২০১৩'  বলে ভুল করে লেখা হয়ে গিয়েছিলো। যা এদিন সংশোধনের পর হয় ১০০তম সংবিধান সংশোধনী বিল-২০১৫'। ওই ভুলের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর সুষমা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি এই ধরনের ভুলের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনিসারি নিজেও।<br />  <br /> জানা গেছে, বিলের দিন তারিখ নিয়ে সাতটি  জায়গায় ভুল থেকে গিয়েছিলো। নজর এড়িয়ে এই ভুল থেকে যায় বলে এদিন রাজ্যসভায় স্বীকার করে নেওয়া হয়। লোকসভায় পাশ করানোর পরই  রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদনের জন্য বিলটি পাঠানোর সময়ই মূলত ওই ভুলগুলো চোখে ধরা পড়ে। ২০১৩ সালে কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ সরকার যেভাবে বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করেছিলো এবারও হুবহু সেই সময়ের সাল তারিখ লেখা রয়ে গিয়েছিল। তবে এদিন ভুল সংশোধন করে রাজ্যসভায় '১০০তম সংবিধান সংশোধনী বিল-২০১৫' পাশ হয়ে যাওয়ায় এখন এই বিলে শুধু ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যের স্বাক্ষরের অপেক্ষা।<br />  </p>