<p>স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশে ছাত্র ইউনিয়নে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে পদচারণ শুরু করেন মতিয়া চৌধুরী। তিনি ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। বাগ্মী ছাত্রনেতা মতিয়া সে সময়ে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে খ্যাত হন। পরে তিনি ন্যাপে যুক্ত হন, একপর্যায়ে যুক্ত হন আওয়ামী লীগে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পথহারা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে সাহসী ভূমিকা রাখেন মতিয়া। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরলে তাঁর নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন মতিয়া।</p> <p>মতিয়া চৌধুরী বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। মতিয়া কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।</p> <p>মতিয়া চৌধুরী নিজের সাদামাটা জীবনযাপনের জন্যও মানুষের কাছে বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র। মন্ত্রী হয়েও তিনি পুলিশ প্রটোকল ছাড়াই চলাফেরা করেন। বিলাসী জীবনযাপন এড়িয়ে চলেন। দামি শাড়ি পরিধান করেন না। থাকেন ছোট একটি ফ্ল্যাটে। অনেকেই মতিয়া চৌধুরীকে সৎ রাজনীতিবিদের প্রতীক হিসেবে মানেন।</p>