রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নের কালিগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে মানিকনগর এলাকায় নদীতীরে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে ড্রেজিং বন্ধের দাবি জানিয়েছে। একপর্যায়ে তারা ড্রেজিংয়ের পাইপে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, নদী থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করায় দুই তীর ভেঙে যাচ্ছে। নদীতে বিলীন হচ্ছে তীরবর্তী ফসলি জমি ও বাড়িঘর। বাপ-দাদার ভিটে হারিয়ে অনেকেই অসহায় হয়ে পড়েছে। কয়েক জায়গায় ধরনা দিলেও ড্রেজিং বন্ধ না হওয়ায় তারা আন্দেলনে নেমেছে।
হযরতপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কনা বেগম জানান, নদী থেকে ক্রমাগত বালু উত্তোলন করায় ইতিমধ্যে তাঁদের ৩৩ শতাংশ জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মজিবুর রহমান জানান, কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা অপরিকল্পিতভাবে ওই নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় তীরের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবার ড্রেজিং শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, আগে যারা ড্রেজার বসিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করেছে তারা সরকারের অনুমতি না নিয়েই অবৈধভাবে এটা করেছে। আর এখন সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নদীতে নাব্যতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ড্রেজিং করা হচ্ছে। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা এটারও বিরোধিতা করছে।
বিআইডাব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আ স ম মাসরেকুল আরেফিন জানান, কেরানীগঞ্জের তুলশীখালী সেতু থেকে মানিকগঞ্জের ঝামসা ব্রিজ পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন স্থানে নৌযান চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত নাব্যতা না থাকায় সরকার ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে ওই সব স্থানে নাব্যতা সৃষ্টি করছে। এ জন্য সার্ভে করা হয়েছে এবং অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীর তীর ভাঙবে না। কিন্তু স্থানীয় লোকজন অতীতের অভিজ্ঞতার কারণে ভুল বুঝে আন্দোলন করছে। তিনি আরো জানান, দরপত্র আহ্বানের মধ্য দিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ এই কাজ পেয়েছে। নদীতে নাব্যতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই তারা ড্রেজিং করছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের ড্রেজিং প্রকল্পের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুর মনির জানান, বিআইডাব্লিউটিএ থেকে তাঁরা কাজের অনুমোদন পেয়েছেন। কিন্তু লোকজন ভুল বুঝে তাঁদের ড্রেজিংয়ের পাইপে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। অফিসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, ড্রেজিং বন্ধের দাবিতে স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ করে ড্রেজিংয়ের পাইপে আগুন দিয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...