<p>নারায়ণগঞ্জ সদরের ফতুল্লার কাশীপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নিহত পরিবারগুলোর পক্ষে মামলা না হওয়ায় গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।</p> <p>এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কাশীপুরের হোসাইনি নগর এলাকায় রিকশার গ্যারেজে সশস্ত্র হামলাকারীরা কুপিয়ে তুহিন হাওলাদার মিল্টন ও পারভেজ আহমেদকে হত্যা করে।</p> <p>মামলার বাদী ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মোজাহারুল ইসলাম উল্লেখ করেন, কাশীপুর হোসাইনি নগর এলাকাতে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রণ করেন ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর বেপারী। তাঁর গ্রুপের লোক ছিল মিল্টন ও পারভেজ। এর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে মিল্টন ও জাহাঙ্গীর বেপারী আলাদা হয়ে যায়। তখন এক গ্রুপের নেতৃত্বে ছিল জাহাঙ্গীর বেপারী আর অন্য গ্রুপের মিল্টন। এসব নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চরম আকারে রূপ নেয়। এর জের ধরে গত ৮ অক্টোবর রাতে মিল্টনের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর বেপারীর গ্রুপের সদস্য বাপ্পীকে কুপিয়ে জখম করে।</p> <p>পরে ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে জাহাঙ্গীর বেপারী, বাপ্পী, রবিন, রকি, আমান, শহিদ, আসলাম, মাহাবুব, বিএনপি নেতা হাসান আহমেদের ভাতিজা শিপলু, রাসেল, মুক্তা, শরীফ, রানা, কিরণ, মানিক, ফয়সাল, রাব্বি, সোহাগ, রাকিব, রাজন, রিকশা আবুল, ফরহাদসহ অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা মিল্টনের বাড়িতে হামলা চালায়। সেখানে বাড়ি ভাঙচুরের পাশের রিকশার গ্যারেজে ঢুকে মিল্টন ও পারভেজকে কুপিয়ে হত্যা করে।</p> <p>মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় মজিদ, হাসানসহ কিছু রাজনৈতিক নামধারী ব্যক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জাহাঙ্গীর বেপারী বাহিনী আশ্রয়-প্রশ্রয় পায় বলে এলাকায় জনশ্রুতি আছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাদের ইন্ধন থাকতে পারে। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামালউদ্দিন জানান, নিহত দুজনের পরিবার মামলা করতে অনীহা প্রকাশ করায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।</p>